বিহারে জোটে ফাটল ধরছে ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের আগে, সঙ্কট বাড়ছে নীতীশের
বিহারে জোটে ফাটল ধরছে, ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সঙ্কট বাড়ছে নীতীশের
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে শরিকি কোন্দলে বিদ্ধ বিজেপি। করোনার মধ্যেও ভোটের দামামা বাজতে শুরু করেছে বিহারে। তার আগে এনডিএ শিবিরে ভাঙনের ইঙ্গিত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। লালুপ্রসাদ যাদবের অনুপস্থিতিতে বিরোধীরা দুর্বল হলেও এনডি তথা বিজেপির জোট শরিকদের মধ্যে কোন্দল সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে নীতীশ কুমারকে।
পাসোয়ানের এলজেপির শিবির বদলের ইঙ্গিত
নীতীশের সঙ্গে বিরোধের জেরে রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি বিহারের জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। তারা নিয়মিত নীতীশ কুমারকে নিশানা করে চলেছে। রামবিলাস পাসোয়ান এর আগে বহুবার পাল্টি খেয়েছেন। রাজনৈতিক সুবিধা দেখে তিনি শিবির বদল করেছেন। এখন পার্টির নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে নিয়ে রামবিলাস-পুত্র চিরাগও শিবির বদলের সুর তুলে দিয়েছেন।
নীতীশের জোট সরকার ছাড়তে পারেন চিরাগ
চিরাগ দলের অন্দরে জানিয়েই দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তাঁরা এই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন। এই সরকারের উপর থেকে সমর্থনও তুলে নেবেন। কেননা নীতীশ কুমারও লালুপ্রসাদ যাদবের মতো বিহারে নিজের সাম্রাজ্য চালানোর চেষ্টা করছেন। আমরা তাঁকে সমর্থন করতে পারি না। এলজেপি বিহারের মানুষের ইস্যু নিয়ে লড়াই করবে।
নির্বাচনে কী সমীকরণ, প্রশ্ন থেকেই যায়!
তবে নীতীশ কুমারকে ছাড়লেও বিজেপিকে ছাড়ছে না লোক জনশক্তি পার্টি। তারা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই চলবে বলে জানিয়েছে। তাহলে আসন্ন নির্বাচনে কী সমীকরণ হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিজেপিতেও নীতীশ বিরোধী বিক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে। তা হলে সমীকরণ অন্য দিকেও মোড় নিতে পারে।
বিজেপি ও জেডিইউ পৃথকভাবে লড়তে পারে
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। বিজেপি ও জেডিইউ পৃথকভাবে লড়তে পারে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে বিজেপি ক্ষুণ্ণ। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিহারে নীতীশ কুমারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। বিজেপির কাছে এই সুযোগ এককভাবে ক্ষমতায় আসার। সেরকম হলে লোক জনশক্তি পার্টিকে নিয়ে নির্বাচনে লড়তে পারে বিজেপি।
বিজেপি বিরোধী মহাজোটও হতে পারে!
আবার ২০১৫-র মতো বিজেপির বিরুদ্ধে যদি মহাজোট হয়, তাও অস্বাভাবিক নয়। তেজস্বী ও তেজপ্রতাপের দুই আরজেডি, কংগ্রেস, হাম ও রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির সঙ্গে যদি নীতীশ কুমার হাত মেলান, তাহলে ফের বিহারে মহাজোট তৈরি হতে পারে। যদিও সেটার সম্ভাবনা এবার ক্ষীণ। আর বিরোধীরাও এবার সঙ্ঘবদ্ধ নয় ২০১৫-র মতো।
তৃণমূলের প্রধানকে পিস্তল দেখিয়ে অপহরণ! বিজেপিতে যোগদানকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি