পাকিস্তানে পালিয়ে যাচ্ছিল গুজরাতে আটক হংকং-এর জাহাজ!
পাকিস্তানে পালিয়ে যাচ্ছিল গুজরাতে আটক হংকং-এর জাহাজ!
কয়েকদিন আগেই গুজরাত উপকূলে আটক করা হয় হংকং-এর পতাকা বহনকারী, করাচির দিকে যাওয়া একটি জাহাজকে। কাস্টমসের তল্লাশিতে সেই জাহাজে মেলে সন্দেহজনক বস্তু। জাহাজের তরফে সেখানে থাকা যন্ত্রকে অকোক্লেভ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ড্রায়ার বলা হলেও, তা ব্যালাস্টিক মিসাইল তৈরিতে ব্যবহৃত বস্তু। এবার জানা গেল সেই জাহাজটি ভারতের চোখে ধুলো দিয়ে প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিল পাকিস্তানে।
করাচির কাসিম বন্দরে যাচ্ছিল জাহাজটি
জানা গিয়েছে ৪ বা ৫ ফেব্রুয়ারি আটকানো হয়েছিল এই সন্দেভাজক জাহাজটি। এটি পাকিস্তানের করাচির কাসিম বন্দরে যাচ্ছিল। জানা গিয়েছে চিনের জিয়াংশু প্রদেশের আনজে নদীতে থাকা জিয়ানইন বন্দর থেকে ছেড়েছিল জাহাজটি। ধরা পরার সেই রাতে ভারতীয়দেক চকমা দিয়ে প্রায় পালাতে সক্ষম হয়ে গিয়েছিল জাহাজটি।
ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখবে জাহাজের সরঞ্জাম
৩ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি পৌঁছেছিল গুজরাতের কান্দলা বন্দরে। সেখানেই ডিআরডিও-র আধিকারিকরা জাহাজটিকে পরীক্ষা করেছেন। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার জন্য নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানীদেরও সেখানে পাঠানো হয়। জাহাজে থাকা বড় অটোক্লেভগুলিকে তারা পরীক্ষা করে দেখবেন।
গোপনীয়তা বজায় রাখা হয় কান্দলায় আটক জাহাজটি ঘিরে
গুজরাতের বন্দরে আটক এই জাহাজের কথা নিরাপত্তার কারণে সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও জানানো হয়। সেই কারণে এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায় অনেক পরে। দ্য কুই উন নামের জাহাজটিতে হংকং-এর পতাকা ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই জাহাজটিকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমানবিক সম্পর্ক
চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমানবিক সাহায্যে পালা চলছে ১৯৮৯ সাল থেকে। এই জাহাজে সেরকমই কিছু সাহায্য পাঠানো হচ্ছিল বলে সন্দেহ। এছাড়াও এই জাহাজ মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময়ের কথা। সেই সময় কান্দলাতেই আটক করা হয়েছিল উত্তর কোরিয়ার জাহাজ। তাতে ছিল মিসাইল তৈরির জিনিস।