দিল্লিতে ধৃত চিনা নাগরিকের বিরুদ্ধে হাওলা ব়্যাকেট মামলায় কড়া পদক্ষেপ ইডির ! কামড় শক্ত করল দিল্লি
চিনা নাগরিক চার্লি পেং দিল্লির বুকে টাকা পাচারের রমরমা ব্যবসা খুলে বসেছিল। আর ইডির সাম্প্রতিক তল্লাশিতে তা ধরা পড়ে যায়। দেশে একাধিক নাম ভাঙিয়ে চর্লি এরফে লুয়ো হাওলা ব়্যাকেট চালাত। আর সেই মর্মেই এবার কোমর এঁটে বসল ইডি।
চার্লিকে নিয়ে ইডির কড়া পদক্ষেপ
চার্লি পেং ওরফে লুয়ো স্যাংয়ের নামে এবার ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে। ফলে ৪২ বছর বয়সী এই চিনা নাগরিক এবার সম্পূর্ণভাবে ইডির জালে আটকে পড়ল। চার্লি সমতে একাধিক জনের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটিটাকা হাওলা মারফৎ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
১২ অগাস্ট থেকে ১৭ অগাস্ট
এদিনের মামলা দায়ের আগে, গত ১২ অগাস্ট দিল্লিতে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় চার্লির নাম উঠে আসে। চার্লি সমেত এদিন দিল্লির একাধিক ব্যাঙ্ক কর্মী ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করে ইডি।
চার্লি বৃত্তান্ত
২০১৪ সালে নেপালের পথ ধরে চিন থেকে ভারতে আসে লুয়ো। যার আধারকার্ড চার্লি পেং নামে তৈরি করা হয় পরে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল মনিপুর থেকে এই আধারকার্ড তৈরি হয়েছে, পরে জেরার মুখে লুয়ো জানায় , সে মিজোরামে গিয়ে মনিপুরী মেয়েকে বিয়ে করে মিজোরাম থেকে এই জাল আধারকার্ড বানায়।
৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘিরে আসল তথ্য
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে ১০০০ কোটি টাকা হাওলার মাধ্যমে লুয়োর মতো অবেকেই পাচার করেছে ভারতের বুকে বসে। বহু ভুয়ো সংস্থার আড়ালে এই চিনা গুপ্তচররা লুকিয়ে রয়েছে। ১০০০ কোটি টাকা বিবিন্ন ব্য়াঙ্ক থেকে ৪০ টি ভিন্ন নামে তোলা হয়েছে। এই ৪০ টি অ্যাকাউন্টই ভুয়ো। আর শেল কম্পানির নামে টাকা তুলে গিয়েছে একাধিক চিনা সংস্থা।
আড়ালের কাহিনী
জানা গিয়েছে, চিনা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট উইচ্যাটের হাত ধরে একটি গ্রুপ তৈরি করে লুয়ো। সেখানে তিব্বতীয় সন্ন্য়াসীদের সঙ্গো যোগাযোগ রাখত সে। দিল্লির কোনও নামী চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট লুয়োকে এই কাজে আর্থিক সাহায্য দিত বলে খবর। সেই অ্যাকাউন্টেন্ট কে নজরে রাখার দিকে এগোচ্ছে পুলিশ।