লাদাখের আকাশসীমায় এবার চিনা ড্রোন! গালওয়ানে পিএলএ-র অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা
ভারতের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য এবার ড্রোনের প্রয়োগ চিনের। জানা গিয়েছে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার পোস্টের উপর নজরদারি চালাতে গত এক সপ্তাহ ধরেই অন্তত চারটি স্থানে এই চিনা ড্রোন দেখা গিয়েছে। এদিকে এই আবহেই দুই দিনের সফরে লেহতে গিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মুকুন্দ নারভানে।
গালওয়ান উপত্যকা থেকে আংশিক ভাবে চিনা সেনা প্রত্যাহার
এদিকে ভারতীয় সেনা প্রধানের লেহ সফরের পরই এদিন গালওয়ান উপত্যকা থেকে আংশিক ভাবে চিনা সেনা প্রত্যাহার লক্ষ্য করা যায়। পূর্ব লাদাখে সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করতে দুই দিনের সফরে লেহতে গিয়েছিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারভানে। সেখানে জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান। উৎসাহ নিয়ে একইভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
শান্তি আলোচনা কি শুধু চোখে ধুলো!
শান্তি আলোচনা কি শুধু চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যেই করছে চিন। ফের উঠল এই প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, জানা যায়, ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলতে থাকলেও ফের তিব্বতে লাইভ ফায়ার ড্রিল করে পিএলএ-র তিব্বত রমান্ডের সেনা। এতেই ফের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলএসি বরাবর বিস্তীর্ণ এলাকায়। এরই মধ্যে সামনে এল এই নজরদারি চালানো ড্রোনের খবর।
এলএসি নিয়ে চিনের দাবি
চিনের দাবি ছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতের দিকে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ বন্ধ রাখা হোক৷ যা মেনে নিতে নারাজ ভারত৷ পাল্টা ভারত সরকারের তরফে বেজিংয়ের কাছে দাবি করা হয়েছে, যাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হয়৷ এই মনোমালিন্য থেকেই শেষ পর্যন্ত গালওয়ান উপত্যকায় বেঁধে যায় দুই দেশের সংঘর্ষ।
গালওয়ানের যেই ব্রিজ নিয়ে এই বিবাদ শুরু হয়
এই আবহেই গত সপ্তাহের সোমবার ভারতীয় সেনার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২০ জন সেনাকে হত্যা করে চিন। ভারতের পাল্টা জবাবে প্রাণ হারায় চিনেরও কমপক্ষে ৩৫ জনের। তবে এই আবহতেও ভারতীয় সেনা তাঁদের নির্মাণ কাজ জারি রাখে। আর শেষ পর্যন্ত গালওয়ানের যেই ব্রিজ নিয়ে এই বিবাদ শুরু হয়, তা তৈরি করতে সক্ষম হয় সেনা।
রাজীবের নামাঙ্কিত সংস্থাকে ৩ লক্ষ ডলার অর্থসাহায্য চিনা দূতাবাসের! ফের গান্ধীদের তোপ নাড্ডার