চিনের সাইবার হামলা হয়ত দায়ী গত বছর মুম্বই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে, দাবি নিউ ইয়র্ক টাইমসের
গত বছর অক্টোবরে বিরাট বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয় বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে, যার জেরে স্তব্ধ হয়ে হয়ে পড়েছিল গোটা মুম্বই নগরী। এই বিপর্যয়ের পেছনে যোগ থাকতে পারে ভারত–চিনের লাদাখ সীমান্তের অশান্তি। নতুন এক সমীক্ষাতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে যে ভারত যাতে চিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে না পারে তারই ইঙ্গিত দেওয়ার জন্য চিন থেকে সাইবার হামলার মাধ্যমে মুম্বইতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় করানো হয়।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি অনুযায়ী যখন ভারতীয় ও চিনা সেনাদের সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষ চলছিল, সেই সময় গোটা ভারতের বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত করতে কন্ট্রোল সিস্টেমে ম্যালওয়্যার ইনজেক্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এখানে উল্লেখ্য যে মুম্বইয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে চিনের সাইবার হামলা দায়ি, এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রথম নয়।
গত বছর নভেম্বরে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয় যে মহারাষ্ট্রের সাইবার বিভাগ সন্দেহ করছে যে ম্যালওয়্যার হামলা এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পেছনে দায়ি থাকতে পারে। যদিও এই বিভ্রাটের প্রাথমিক কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল যে থানে জেলার কালওয়া-পাডঘা জিআইএস সার্কিটের ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয় হয়েছে। গত বছরের ১২ অক্টোবর মুম্বইতে বিরাট বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে, যা সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বহু ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে মুম্বই শহর। যদিও সমস্যার সমাধান দুপুরের মধ্যেই হয়ে যায়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের সাইবার বিভাগ নভেম্বরে পাডঘার স্টেট লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারে ম্যালওয়্যারের উপস্থিতি দেখতে পায়।
এনওয়াইটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ম্যালওয়্যারটি সনাক্ত করেছিল ২০০৯ সালের সাইবারসিকুউরিটি সংস্থা, যার সদর দপ্তর সামারভিলেতে। সংস্থার দাবি, অধিকাংশ ম্যালওয়্যার সক্রিয় ছিল না, খুব কম অংশের সক্রিয় থাকার জন্য মুম্বইয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। যদিও রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে সাইবারসিকিউরিটি সংস্থা নিষেধাজ্ঞ থাকার দরুণ নিজেরাও সেই কোড পরীক্ষা করে দেখেনি, যার অর্থ হল এটি ভারতের পাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি সংস্থাটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। এই সংস্থাটি চিনের রেড ইকোর নাম করেছে, যারা মুম্বইয়ের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য দায়ি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রেড ইকো ভারতীয় বিদ্যুৎ পদ্ধতিকে ব্যহত করতে নানান ধরনের সাইবার কৌশল প্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছে। তবে এখনও এ নিয়ে তদন্ত চলছে, মুম্বইয়ের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পেছনে আদৌ চিনের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।