লালফৌজের নজরে পাঞ্জাবি জওয়ানরা! শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসে লুকিয়ে রয়েছে কোন চাপা আগুন
ভারতের ভাষা বোঝে না তারা। অথচ লাদাখে সীমান্তের একাধিক জায়গায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে পাঞ্জাবি পপ মিউজিক। সীমান্তের ওপারে স্পিকারে বাজছে সেই সব পাঞ্জাবি গান। এতো ভাষা থাকতে পাঞ্জাবি গান কেন? হঠাৎ করে পাঞ্জাবী জওয়ানদের কেন টার্গেট করছে লালফৌজ। তার এক শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে।

সীমান্তে বাজছে পাঞ্জাবিগান
লাদাখে যখন তুমুল উত্তেজনা ঠিক তখনই লালফৌজ স্পিকারে বাজিয়ে চলেছে একের পর এক পাঞ্জাবি পপ গান। এতো ভাষা থাকতে হঠাৎ করে পাঞ্জাবি ভাষার উপর কেন ভর করল লালফৌজ। এর নেপথ্যে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে তাদের। এর নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে। তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

পাঞ্জাবি জওয়ানরা টার্গেটে
লালফৌজের টার্গেটে পাঞ্জাবি সেনারা কেন রয়েছেন তার এক শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। ব্রিটিশ আমলের সেই ইতিহাস। ব্রিটেনের দখলে থাকা চিনে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল এক চিনা বক্সার। তাকে শায়েস্তা করতে হিমসিম খাচ্ছিল ব্রিটিশ ফৌজ। শেষে সব কলোনি থেকেই সেনা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বেজিংয়ে। ৮টি কলোনি থেকে সেনা নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা। তাতে ছিল শিখ এবং পাঞ্জাবি রেজিেমন্ট।

ইতিহাসে লুকিয়ে রোষ
সেই ব্রিটিশ চিনা বিদ্রোহী বক্সার বিদেশিদের রীতিমত হুমকি গিয়েছিলেন। ৪০০ জন বিদেশিকে বন্দি করে রেখেছিলেন সিই বিদ্রেহী কৃষক। তাকে ঘায়েল করতে হিমসিম খাচ্ছিল ব্রিটিশ ফৌজ। শেষে বাইরে থেকে ২০,০০০ সেনা নিয়ে যাওয়া হয় বেজিংয়ে। তার মধ্যে ছিলেন ৮০০০ শিখ সেনা পাঞ্জাবী রেজিমেন্ট। বিদ্রোহী নিকেশের পর ফেরার পথে চুশূলে সেময় একাধিক বাড়ি ঘর ধ্বংস করেছিল ব্রিটিশ শাসনে থাকা পাঞ্জাবি রেজিমেন্ট, লুঠ করে এনেছিলেন সোনার লাফিং বুদ্ধাটিও। পের ১৯৫৫ সালে ভারতীয় সেনা সেখান থেকে লুঠ করে আনা একটি ব্রোঞ্চের ঘণ্টা ফিরিয়ে দিয়েছিল বেজিংকে।

রাগ পুষে রেখেছে চিন
পাঞ্জাবি রেজিমেন্ট এবং শিখ জওয়ানদের সেই লুঠের ঘটনা এখনও লালফৌজের স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে। সেই রাগ পুষে রেখেছে তাঁরা। সেকারণেই সীমান্তে পাঞ্জাবি পপ মিউজিক স্পিকারে বাজাচ্ছেন চিনা ফৌজ। তাই বরাবরই শিখদের প্রতি একটু বেশিই রুষ্ট চিনা ফৌজ।

সেনা মনযোগ বিঘ্ন করার চেষ্টা
লাদাখ সীমান্তে পাঞ্জাবি পপ মিউজিক বাজিয়ে সেনার মনসংযোগ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করছে ভারতীয়দের ভাষা তাঁরা বোঝেন। অথবা ভারতীয় জওয়ানরা যে পরিকল্পনা করেছেন তা বুঝে গিয়েছেন তাঁরা। তাতে ভারতীয় জওয়ানরা বিচলিত হয়ে উঠবেন তাঁদের কঠোর মনসংযোগ বিঘ্নিত হবে। সেই সুযোগের সদব্যবহার করার পরিকল্পনায় রয়েছেন তাঁরা।
'ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, কিন্তু ইসলামাবাদ...' সংসদে কী জানাল কেন্দ্র?