দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক শক, ফেলে রাখা হতো চোখ বেঁধেও! চিন সেনার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক শক, ফেলে রাখা হতো চোখ বেঁধেও! চিন সেনার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
লালফৌজের নৃশংসতার বিষয়ে কারোর অজানা নয়! ফের একবার প্রকাশ্যে এল সেই নৃশংসতা। গত কয়েকদিন আগেই সংবাদ শিরোনামে আসে অরুণাচলের বাসিন্দা Miram Taron। ১৭ বছরের ওই যুবককে ওই এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। চিনের লালফৌজ (PLA) এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ওই যুবকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা
কিন্তু ভারতীয় সেনা তরফে লাগাতার ওই যুবকের খোঁজ চালানো হয়। এমনকি চিনের বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়। সম্প্রতি Miram Taron-কে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই পরিবারের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু Miram Taron ফিরে আসার পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা। অভিযোগ, চিনের বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকাকালীন Miram Taron-এর সঙ্গে নৃশংস ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি কারেন্ট পর্যন্ত তাঁকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি মানসিকভাবেও তাঁকে বিভিন্ন নির্যাতন করা হয়েছে বলে মারাত্মক অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত চরম অস্বস্তির মধ্যে লাল ফৌজ।
তাঁর বাবা-মা'য়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়
জেলা প্রশাসনের (District Deputy Commissioner) তরফে Shashwat Saurabh বলেন, সোমবার ভারতীয় সেনার ত্রগে সিয়াং জেলার তুতিং এলাকাতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে Miram Taron-কে তাঁর বাবা-মা'য়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা তো বটেই, অন্যান্য গ্রামের মানুষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও সেনাবাহিনী তাঁর বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার আগে Miram Taron-এর চিকিৎসা করে সেনার ডাক্তাররা।
মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে
জানা যায়, সীমান্তের কাছে গত ১৮ জানুয়ারি চিন মিরামকে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ। তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে শিকারে বের হন Miram Taron। আর এরপর থেকেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর সেনাবাহিনী একাধিকবার চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অবশেষে ২৭ জানুয়ারি ভারত এবং চিনের সীমান্তে Miram-কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় লালফৌজ। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পর থেকেই ছেলে ভয় পেতে শুরু করেছে। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে বলেও দাবি। গত এক সপ্তাহ ধরে চিনের বাহিনী তাঁর উপর অহস্য অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ। হাত-পা বেঁধে এবং চোখ বেঁধে রেখে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, যখন খাবার দেওয়া হতো সেই সময়েই চোখের কাপড় খোলা হত বলে দাবি অপহৃত যুবকের বাবা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে Miram Taron-এর বাবা আরও জানিয়েছেন, ছেলের পিঠে আঘাত করেছে চিনের বাহিনী। এমনকি ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে বলেও মারাত্মক অভিযোগ তাঁর।