সীমান্তে ৪টি স্থানের উপর 'নজর' চিনের, ক্রমেই তৈরি হচ্ছে যুদ্ধের পরিস্থিতি
চিন এলাকার গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণ কাজের অভিযোগ এনে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছিল বেজিং। দিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারিও দেয় জিনপিং প্রশাসন। অথচ, বাস্তবে চিনই সিকিম সীমান্তে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে। এই অজুহাতে এলএসি বরাবর চারটি স্থানের সেনা বাড়িয়েছে চিন। বেজিংয়ের তরফে এই সব জায়গার উপর রাখা হচ্ছে কড়া নজর।
সীমান্তে ১০০ তাঁবু গেড়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি
বিতর্কিত গলওয়ান উপত্যকায় প্রায় ১০০ তাঁবু গেড়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এ ছাড়া ডেমচকের কাছাকাছি অঞ্চলেও সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে বেজিং। চিনের সামরিক তৎপরতার জেরে সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লিও।
নাথু-লা সেক্টরে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ
৯ মে উত্তর সিকিমে ফের ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ হয়। সিকিমের নাথু-লা সেক্টরে টহলদারি চালানোর সময় ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অনু্প্রবেশ করে চিনের সেনা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান কর্তব্যরত ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এর ফলে চিনের সাতজন সেনা ও চারজন ভারতীয় জওয়ান জখম হন।
তৎপর ভারতীয় বায়ুসেনা
এদিকে কয়েকদিন আগেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উড়তে দেখা গিয়েছিল চিনা হেলিকপ্টার। সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছুটে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান। এরপর ফের চিন ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ আনে।
লাদাখ সফরে সেনা প্রাধান
জানা গিয়েছে চিনের সঙ্গে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের চারটি বিভিন্ন স্থানে সামনাসামনি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈর হয় ভারতীয় সেনার। এরপরই শুক্রবার সেনা প্রধান মুকুন্দ নারভানে লাদাখ সফরে যান। এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে লাদাখ ও সিকিম সীমান্তে আসল নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় ভারত ও চিন অতিরিক্ত সেনা নিয়োগের জেরে পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আম্ফানের জেরে রাজ্যে ফেরা হবে না পরিযায়ীদের! শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বন্ধের আবেদন জানাল নবান্ন