অন্ধকার ঘরে হাত-পা-মুখ বেঁধে বেধড়ক মার, লালফৌজের হেফাজতে নির্মম অত্যাচার অরুণাচলী যুবককে
লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই অরুণাচল থেকে ৫ ভারতীয়কে অপহরণ করেছিল লালফৌজ। প্রায় দিন ১৫ পরে তাঁদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। লালফৌজের হেফাজতে থাকা ৫ ভারতীয়ের উপর কী নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছিল তার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা শোনাল ২১ বছরের যুবক।

৫ অরুণাচলীকে অপহরণ
লাদাখে যখন উত্তেজনা চরমে ঠিক তখনই অরুণাচলে জঙ্গলে শিকার করতে যাওয়া ৫ ভারতীয়কে অপহরণ করে লালফৌজ। তাঁদের সঙ্গীরা এসে ভারতীয় জওযানদের খবর দেয় লালফৌজ ৫ ভারতীয়কে অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনা।

লালফৌজকে হটলাইনে বার্তা
৫ অরুণাচলীকে অপহরণের খবরে ভারতের পক্ষ থেকে লালফৌজকে হটলাইনে বার্তা পাঠানো হয়। তারপর প্রায় তিন দিনের মাথায় লালফৌজ জানায় ৫ ভারতীয়কে তাঁদের এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। দীর্ঘ আলোচনার পর শেষে ৫ অরুণাচলীকে ভারতের হাতে তুলে দেয় লালফৌজ।

নির্মম অত্যাচার
দুর্ভাগ্যবশত সেদিন লালফৌজের খপ্পরে পড়েছিল যে পাঁচ অরুণাচলী তাঁর মধ্যে ২১ বছরের তোগলে সিঙ্গকাম। প্রায়ই সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পন্য পৌঁছে গিতেন তোগলে। সেদিনও জঙ্গলে শিকারে গিয়েছিলেন তিনি। সেসময় হঠাৎই তাঁর সামনে এসে পড়ে একদল চিনা ফৌজ। তাঁদের সংখ্যা অনেক ছিল যার জন্য পালানোর সুযোগ পায়নি তোগলে।

১৫ দিন ধরে অত্যাচার
১৫ দিন ধরে লালফৌজের হেফাজতে নির্মম অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। অন্ধকার ঘরে হাত পা মুখ বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল। সেখানে এলোপাথারি কিল চর ঘুসি লাথি চালাত লালফৌজ। ইলেকট্রিক শক দিতেও পিছ পা হয়নি তাঁরা। তাঁকে স্বীকার করতে বলা হত যে ভারতীয় সেনার চর হিসেবে কাজ করেন তিনি।

ফাঁদে ফেলার চেষ্টা
লালফৌজ বারবার তাঁকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য জোর দিতে থাকে। কারণ তাঁরা চেয়েছিল ভারতের চর হিসেবে প্রমাণ করতে। কিন্তু লালফৌজের সেই ফাঁদে পা দেননি তোগলে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছিল ভাষা নিয়ে। চিনা ভাষা ছাড়া তারা আর কোনও ভাষায় কথা বলতে পারত না। ফলে তোগলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করতে পারছিল না লালফৌজ।