ভারতে তবে প্রত্যাবর্তনের পথে টিকটক? আমেরিকার দেখানো পথেই উঠতে পারে নিষেধাজ্ঞা?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শর্ত মেনে ফের আমেরিকায় পরিষেবা শুরু করতে চলেছে টিকটক অ্যাপ! সূত্রের খবর আমেরিকায় টিকটকের পরিষেবা চলবে মূলত 'টিকটক গ্লোবাল’ নামে। এটি পরিচালনার সিংহভাগ দায়িত্ব থাকবে মার্কিন টেক জায়েন্ট ওরাকেল এবং ওয়ালমার্টের হাতে। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের পর ভারতে টিকটকের প্রত্যাবর্তন নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
আবারও প্রত্যাবর্তনের পথে টিকটক?
এদিকে ভারতের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থেই জুনে লাদাখ সেনা সংঘর্ষের পর থেকে তিন দফায় প্রায় ২০০টির বেশি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তালিকায় টিকটকের পাশাপাশি নাম রয়েছে উই চ্যাট, ইউসি ব্রাউজার সহ জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপ পাবজিও। এই সমস্ত অ্যাপের বিরুদ্ধেই ভারতীয় ব্যবহারকারীদের তথ্য ঘুরপথে চিনে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল।
রিলায়েন্সের হাত ধরে ফিরতে পারে টিকটক
সূত্রের খবর, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি পুনরায় পর্যালোচনা করলে ফের টিকটকে ভারতে ফেরানো হতে পারে একটা চাপা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি মহলে। এদিকে কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের হাত ধরেই ফের ভারতের মাটিতে ফিরতে পারে টিকটক। সূত্রের খবর, ব্যানের সময় টিকটকের মোট ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ ব্যবহারকারীই ছিল ভারতীয়।
আমেরিকার দেখানো পথেই হাঁটতে পারে ভারত?
অন্যদিকে ভারতের পাশাপাশি টিকটকের সিংহভাগ ব্যাবহারকারী আবার আমেরিকার। সেখানেও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এই অ্যাপের। সে কথাকে পুর্নবিবেচনা করেই খানিক ঘুরপথে হলেও ফের টিকটকের প্রত্যাবর্তন হয়েছে আমেরিকায়। যদিও অ্যাপ পরিচালনার বেশিরভাগ দায়িত্বই থাকছে মার্কিন সংস্থা গুলির কাছে। সূত্রের খব, বর্তমানে ভারতও খানিকটা সেই পথেই হাঁটতে চাইছে।
কি বলছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা
এই ক্ষেত্রে চিনা সংস্থা বাইটড্যান্স অধীনস্থ জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ডেটা আদানপ্রদানের বিষয়টি ফের খতিয়ে দেখতে চাইছেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আধিকারিকেরা। ফের যাতে তথ্যপাচারের মুখে না পড়ে ভারতীয় ব্যবহারকারীরা সেই বিষয়েই নিশ্চিত হতে চাইছে সরকারও। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও খামতি এড়াতে নতুন পরিকল্পনাও চাওয়া হচ্ছে চিনা সংস্থার কাছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ার আগে দেশে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০ কোটি। কর্মী সংখ্যাও ছিল প্রায় ২ হাজার।