দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মিলিত প্রয়াসে ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে, মন্তব্য চিনা রাষ্ট্রদূতের
কলকাতায় চিনা নববর্ষের অভ্যর্থনা জানাতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং।
কলকাতায় চিনা নববর্ষের অভ্যর্থনা জানাতে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং। সেখানে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। সান ওয়েইডং বলেন, '২০২০ সালটি ভারত-চিন তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্ণ করছে। এই বিগত সাত দশক ধরে অনেক খাড়াই-উতরাই পার করেও ভারত-চিন সম্পর্ক এগিয়ে চলেছে নতুন দিগন্তে।'
ড্রাগন আর হাতির একসঙ্গে নৃত্যের নতুন অধ্যায়
তিনি আরও বলেন, 'দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মিলিত প্রয়াসে ভারত-চিন সম্পর্কের অনেন উন্নতি হয়েছে গত কয়েক বছরে। এর ফলে আমরি নতুন করে উন্নয়নের পথে একসঙ্গে হাঁটতে শুরু করেছি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দুটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন, তার মাধ্যমে আমরা ড্রাগন আর হাতির একসঙ্গে নৃত্যের নতুন অধ্যায় রচনা শুরু করেছি।'
গতবছর ভারত সফরে আসেন জিনপিং
গতবছর অক্টোবর মাসে ভারত সফরে আসেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। এই সফরের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লেখা হয়, জিনপিংয়ের মহাবলীপূরমের এই সফর সেই ছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সফল সফর। জিনপিংয়ের এই ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে এবং সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
সফর সম্পর্কে জিনপিংয়ের প্রতিক্রিয়া
এই সফর নিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট নিজে বলেছিলেন, 'হৃদয় দিয়ে দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।'
|
জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য
আর বৈঠক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা রয়েছে। গত প্রায় ২০০০ বছর ধরে চিন এবং ভারত অর্থনৈতিক শক্তি। এদিন মোদী ভারত ও চিনের মধ্যে গতবছরে উহানে প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন। সেই বৈঠকেই দুদেশের সম্পর্ক অন্য গতি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন মোদী। তিনি বলেন, চেন্নাই ভিশন নতুন যুগের সূচনা করল।
সিএএ-নিয়ে মোদীকে কী পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?