বছরের শুরুতেই আশা জাগাল পদক্ষেপ চিনের, লাদাখ সীমান্ত থেকে পিছু হঠল ১০,০০০ লালফৌজ
বছরের শুরুতেই আশা জাগাল পদক্ষেপ চিনের, লাদাখ সীমান্ত থেকে পিছু হঠল ১০,০০০ লালফৌজ
কিছুটা হলেও লাদাখে ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে চিন। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত থেকে প্রায় ১০,০০০ সেনা সরিয়ে নিয়েছে বেজিং। পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণে রেখা বরাবর বেশ কিছু জায়গাতেই সেনা কমিয়েছে চিন। যদিও ফ্রন্টলাইন এলাকায় সেনা একই ভাবে মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখন সেখানে দুই দেশের সেনা চোখে চোখ রেখে রয়েছে। এক চুলও অবস্থান বদল করেনি লালফৌজ। অনড় ভারতীয় সেনাও। নিয়ন্ত্রণ রেখা থেরে ১৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে লালফৌজের বড় ক্যাম্প। এপ্রিল মাস থেকে সেখানে বাড়তি সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল বেজিং। ভারতের উপর চাপ তৈরি করাই ছিল লালফৌজের মূল উদ্দেশ্য। তারপর হঠাৎ করে ১০,০০০ সেনা সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়াকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ভারত। যদিও সীমান্তে এখনও চোখ রাঙানি জারি রয়েছে।
সেনা সরাল বেজিং
পূর্ব লাদাখের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছের ক্যাম্প থেকে ১০,০০০ সেনা সরাল বেজিং। যদিও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ক্যাম্পগুলিতে এখনও সমান ভাবেই সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে যেখান থেকে এই বিপুল সংখ্যক সেনা সরানো হয়েছে সেটা নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থাত। চিনের এই ক্যাম্পটিতে গত এপ্রিল মাস থেকে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছিল বেজিং। তার অন্যতম কারণ থেকে ভারত ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেখান থেকে হঠাৎ করে ১০,০০০ সেনা সরানোর সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলেই মনে করছে ভারত।
সীমান্তে নজরদারি বহাল
ভেতরের ক্যাম্প থেকে সেনা সরালেও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরবর ক্যাম্প গুলিতে সেনা মোতায়েন অপরিবর্তিত রেখেছে বেজিং। যে অস্ত্র রাখা হয়েছিল সেটাও কমানো হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লাদাখ সীমান্তে লাগাতার চোখ রাঙিয়ে চলেছে বেজিং। ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়েছে। তাতে ভারতীয় জওয়ানরা শহিদও হয়েছেন। একই ভাবে চিনা সেনাও মারা গিয়েছে। তারপর থেকে টানটান উত্তেজনা বহাল রয়েছে লাদাখ সীমান্তে।
শীতেও কমেনি উত্তাপ
লাদাখের তাপমাত্রা এখন মাইনাস ৯- থেকেও নীচে। কনকনে ঠান্ডাপ মধ্যেও উঁচু পাহাড়ের কোলে ক্যাম্প করে চিনের সীমান্তে নজরদারিতে অবিচল ভারতীয় জওয়ানরা। তাঁদের সুরক্ষার জন্য আগে থেকেই সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল সেনা বাহিনী। খাবার থেকে শীতের পোশাক এমনকী বরফের মধ্যে চলতে পারে এমন যানও প্রস্তুত রয়েছে সীমান্ত। বায়ু সেনার শক্তিও বাড়ানো হয়েছে লাদাখে। চিনও কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁরাও সীমান্তে অতন্ত্র প্রহরা চালিয়ে যাচ্ছে।
গালওয়াল উপত্যকায় সংঘাত
গালওয়ান ভ্যালি নিয়ে সংঘাত চরমে উঠেছে ভারত চিনের মধ্যে। চিন কিছুতেই ১৯৯৭১-র সীমান্ত চুক্তি মানতে নারাজ। গালওয়ান উপত্যকার দখলে মরিয়া বেজিং। ভারতও অন্যদিকে নাছোড়। দেশের ভূখণ্ড কোনও মূল্যেই হাতছাড়া করবে না। সেনা বাহিনীকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে মোদী সরকার। তার জন্য তাঁদের পরিস্থিতি মোকাবিলার সব স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।