এবার এই রাজ্যের সীমান্তেও চিনা সেনার তৎপরতা
ডোকলাম নিয়ে অচলাবস্থার মধ্য়েই উত্তরাখণ্ডের পর এবার হিমাচল প্রদেশ সীমান্তে চিনা সেনার তৎপরতা। কিন্নৌর এবং লাহুল-স্ফীতির সীমান্তে চিনা হেলিকপ্টারের আনাগোনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
ডোকলাম নিয়ে অচলাবস্থার মধ্য়েই উত্তরাখণ্ডের পর এবার হিমাচল প্রদেশ সীমান্তে চিনা সেনার তৎপরতা। কিন্নৌর এবং লাহুল-স্ফীতির সীমান্তে চিনা হেলিকপ্টারের আনাগোনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরি ছাড়াও অন্য নির্মাণ কাজে পিএলএ ব্য়স্ত বলে জানা গিয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে চিনের সীমান্ত রয়েছে প্রায় ২৬০ কিমি। যার মধ্যে কিন্নৌরের সঙ্গে ১৬০ কিমি এবং লাহুল-স্ফীতির সঙ্গে ৮০ কিমি সীমান্ত রয়েছে। কুড়িটি আউট পোস্টের মাধ্য়মে তিন ব্য়াটেলিয়ন ইন্ডো টিবেটান বর্ডার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ওই এলাকায়।
গত কয়েক বছর ধরে সীমান্তে নির্মাণ কাজ চালালেও, গত মাস চারেক ধরে এলাকায় তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি আধিকারিক। ভারতের পক্ষ থেকে এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক।
হিমাচলের
কৌরিক
সীমান্তের
শাকটোট
গ্রাম
থেকে
চিনের
নির্মাণ
কাজ
পরিষ্কার
দেখা
যায়।
এই
কৌরিক
থেকে
প্রায়
১৯০
কিমি
দূরে
রয়েছে
চিনের
এয়ার
ফিল্ড
লুপসুক।
ভারতের
তরফে
এই
কৌরিকেই
নজকদারি
রয়েছে
সব
থেকে
বেশি।
কিন্নৌরের
স্থানীয়
প্রশাসনের
তরফে
এবছরে
৫২
জন
আবেদনকারীকে
চিনের
সঙ্গে
ব্যবসার
পারমিট
দেওয়া
হলেও,
চূড়ান্ত
কোনও
অনুমতি
এখনও
দেওয়া
হয়নি।
দুই
দেশের
সম্পর্কের
অচলাবস্থার
জেরে
আদৌ
কবে
অনুমতি
মিলবে
তা
জানাতে
পারেননি
কিন্নৌরের
ইন্ডো-চায়না
ট্রেড
অ্যাসোসিয়েশন।
বছরের পর বছর ধরে প্রায় ১৮৫৯৯ ফুট উচ্চতায় থাকা সিপকি-লা-র পথেই তিব্বতের সঙ্গে ব্য়বসা চলে। এই পথেই শতদ্রু তিব্বত থেকে ভারতে ঢুকেছে। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে এই ব্য়বসার পথ বন্ধ হয়ে গেলেও, ১৯৯৪ সালে তা ফের চালু করা হয়।
সিপকি-লা ছাড়াও একাধিক পার্বত্য পথ রয়েছে দুদেশের মধ্যে। সেগুলি হল, লেপচা-লা, রাঙ-লা এবং রানিশা-ডব-রঙ। এই পার্বত্য় পথের মধ্য়েই ট্রানজিট রুটের মাধ্য়মে গ্রামবাসীরা দুদেশের থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।