লাদাখের মতো করেই অরুণাচলে রেইকি শুরু করেছে লালফৌজ! চিন কাদের টোপ বানিয়ে কাজে লাগাচ্ছে
লাদাখ সংঘাত শুরু হওয়ার ঠিক আগেই লাদাখের এলাকা নিয়ে চিন রেইকি করেছিল। এলাকা সম্পর্কে আলাদা বর্ডার ডিফেন্স রেজিমেন্টকে নিয়ে বহু তত্ত্ব তলাশ করেছিল তারা। এরপর সেপথে আগ্রাসনে অংশ নেয় চিন। লাদাখে এরপর চিন ব্যাকফুটে যেতেই , বেজিংয়ের নজর গিয়ে পড়ে অরুণাচলে।
অরুণাচলে গোপনে কী ঘটাচ্ছে লালফৌজ?
অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব প্রান্তে আচমকাই গতিবিধি বাড়িয়ে দিয়েছে চিনের সেনা। অরুণাচল সীমান্তে র আশপাশের পাসগুলিতে দেখা যাচ্ছে লালফৌজের বাড়বাড়ন্ত টহলদারি। তবে লালফৌজের পোশাক পরে যঁদের দেখা যাচ্ছে তাঁরা আসলে লালফৌজের অংশ নন। আর তা থেকেই দানা বেঁধেছে রহস্য
লালফৌজের উর্দি পরে কারা ঘরাফের করে?
মূলত অরুণাচল সীমান্তে লালফৌজের উর্দি পরে ঘোরা ফেরা করতে দেখা যাচ্ছে কিছু সাধারণ মানুষ। এঁদের টোপ হিসাবে ব্যবহার করছে চিন। এই একই ছবি লাদাখের ডোমচকে দেখা গিয়েছিল। এই সমস্ত নাগরিকদের দিয়ে এলাকার রেইকি করাচ্ছে লালফৌজ।
অরুণাচল ও চিনের গেমপ্ল্যান
অরুণাচল প্রদেশ মূলত কয়েকটি অংশে বিভক্ত। তাওয়াং, বুমলা, তেঙ্গা, ও রেস্ট অফ অরুণাচল প্রদেশ (পূর্ব অংশ)। এই রেস্ট অফ অরুণাচলের পশ্চিম অংশের নাগরিকদের দিয়ে এলাকার রেইকি করাচ্ছে চিন। এঁদের বলা আছে, লালফৌজের উর্দি পরেই যেন সীমান্তে টহল চালিয়ে যায়।
কীসের খোঁজ করছে এই রেইকি টিম?
মূলত অরুণাচল সীমান্তে ভারতীয় সেনার ফরোয়ার্ড পজিশনে কী রয়েছে, বা কী অবস্থা তা নিয়ে রেইকি করছে চিনের রেইকি টিম। মূলত এই চিনা নাগরিকরা গ্রাউন্ড ইনফরমেশন সংগ্রহ করে এগিয়ে যাচ্ছে নিজের মিশনে । শুধু অরুণাচল প্রদেশই নয়, সেনা সূত্রের খবর, চিন এমন বাহিনী লাদাখেও প্রতিনিয়ত পাঠিয়ে যাচ্ছে।