লাদাখ পরিস্থিতির মাঝে চিনের নয়া সীমান্ত সংক্রান্ত আইন নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের
লাদাখ পরিস্থিতির মাঝে চিনের নয়া সীমান্ত সংক্রান্ত আইন নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের
নতুন এই আইনের হাত ধরে, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিকে। চিনের নতুন 'ল্যান্ড বাউন্ডারি ল' বা সীমান্তবর্তী দমি সংক্রান্ত আইন নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। এদিন নয়া দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একথা বলা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব অরিন্দম বাগচি কী জানিয়েছেন এদিন দেখে নেওয়া যাক।
দিল্লির বার্তা
সীমান্তের ইস্যুতে চিনের নয়া সীমান্ত সংক্রান্ত আইন যে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে বেশ বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে তা এদিন জানিয়ে দিল ভারত। এদিন দিল্লিতে একটি প্রেস কনফারেন্সে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সচিব অরিন্দম বাগচি বলেন, চিন সীমান্তের প্রশ্নে এই আইন ভারতের কাছে উদ্বেগের। দিল্লি সাফ বার্তায় জানিয়েছে, সীমান্তের জমি নিয়ে বেজিংয়ের একক সিদ্ধান্ত মোটেও দুই দেশের সম্পর্কে ভালো প্রভাব ফেলবে না। তা ছাড়া এই ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।
স্পষ্ট বার্তা ভারতের
ভারত জানিয়েছে, যে সিদ্ধন্ত দুই দেশ মেনে নেবে তেমন পথে চলার বার্তা আগেও দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। যে নীতিতে দুই দেশের একমত থাকবে সীমান্তের ক্ষেত্রে তেমন সিদ্ধন্তকেই অগ্রগন্য হিসাবে ধরে নেওয়া হবে। অরিন্দম বাগচি বলেন, এর আগে, যাবতীয় প্রোটোকল মেনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সমান তালে সম্পন্ন করতে হবে। এর আগেও শান্তির রাস্তা ধরে বিভিন্ন প্রোটোকল মেনে এই পদ্ধতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
চিনের আইনে কী বলা হয়েছে?
নতুন আইনে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বলা হয়েছে যে চীন স্থলভাগের সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে দেশগুলির সাথে সম্পাদিত বা যৌথভাবে অনুমোদিত চুক্তিগুলি মেনে চলবে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাগুলির নতুন করে সজ্জা ও তৈরি হওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে। উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই চিনের গতিবিধি নিয়ে সাম্রাজ্যবাজের অভিযোগ রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট বড় বিভিন্ন দেশের মধ্যে। প্রবল সাম্রাজ্যবাদের নেশায় বহু জায়গা দখল করার ইস্যুতে চিনের সঙ্গে একাধিক দেশর সংঘাত রয়েছে।
লাদাখ পরিস্থিতি
লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে যখন দেশ রীতিমতো উদ্বেগে। চিন-ভারত সম্পর্কের মাঝে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে দিল্লি। লাদাখ পরিস্থিতির মধ্যে চিনের মাঝে ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় রীতিমতো নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেজিং। এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কড়া নজর রেখেছে দিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে চিনের নয়া আইন দিল্লি যে মোটেও সন্তুষ্ট নয়,তা জানান দিয়েছে তারা।