পত্রপাঠ নাকচ ভারতের শান্তি প্রস্তাব, লাদাখ ইস্যুতে দিল্লির সামনে অবাস্তব শর্ত বেজিংয়ের
লাদাখে শান্তি ফেরাতে উভয় পক্ষেরই সেনা প্রত্যাহার করা উচিত বলে বেজিংয়ের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিল দিল্লি। তবে দিল্লির সেই প্রস্তাবকে পত্রপাঠ নাকচ করে দেয় চিন। তাদের স্পষ্ট বার্তা, লাদাখে আগে শান্তি ফেরাতে হবে, তবেই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভাববে বেজিং। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের এই শর্ত পুরোপুরি অবাস্তব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল চিন
ভারতের প্রস্তাব ছিল যে লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরাতে একসঙ্গেই সেনা প্রত্যাহার করা হোক দুই দেশের তরফে। তবে শান্তি ফেরার আগে সেনা প্রত্যাহারে নারাজ চিন। দিল্লির তরফে বেজিংকে এটা বোঝানো কঠিন হয়ে পড়ছে যে যদি সেনা প্রত্যাহার না করা যায় তবে শান্তি ফইরবে না লাদাখে।
সীমান্ত নিয়ে চিনের দাবি
বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে লাদাখের বেশ কিছু এলাকা নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছে চিন। এবিষয়ে দিল্লির বক্তব্য, চিন ১৯৫৯ সাল থেকে যে দাবি করে এসেছে, তা পুরোপুরি একতরফা। যদিও সীমান্তে চলতে থাকা উত্তেজনার দোষ ভারতের ঘাড়ে চাপানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে এসেছে চিন।
চিনকে অবিলম্বে এলএসি থেকে পিছু হটতে বলেছে ভারত
উল্লেখ্য, প্যাংগংয়ের দক্ষিণ অবস্থিত চুশুলের ফিঙ্গার পয়েন্টগুলির চূড়াতে রয়েছে ভারতীয় সেনা। সেখান থেকে ভারত অনায়াসে স্প্যানগুর গ্যাপ থেকে শুরু করে মলডোতে অবস্থিত চিনা ঘাঁটির উপরও নজর রাখতে পারছে। আর এতেই অস্বস্তিতে পড়েছে চিনা সেনা। এদিকে চিনকে ভারত অবিলম্বে এলএসি থেকে পিছু হটতে বলেছে। যদিও দুই পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড়।
চুশুলের চূড়ায় বসে ভারতীয় সেনা
চুশুলের চূড়া থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চিন। পরপর বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। কোনও দেশই অন্য দেশের কথা মতো কাজ করতে নারাজ। শীত যত ঘনিয়ে আসছে নতুন করে ততই উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে সীমান্তে। শান্তিপূর্ণভাবে সেনা স্তরে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করলেও দু'দেশই তলায় তলায় সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে।
মার্কিন মুলুকে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে ২.২ কোটি ভোট, ওয়ার্মআপ পর্বে এগিয়ে কোন নেতা?