ইতিবাচক বার্তা দিয়েও হুঁশিয়ারি, লাদাখে ১১ ঘণ্টার বৈঠকের পর সীামান্ত নিয়ে মুখ খুলল চিন
সোমবার সপ্তম দফার সেনা স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ভারত এবং চিনের মধ্যে। এবং এই বৈঠকের পরই এই বৈঠকের আলোচনা নিয়ে বিবৃতি পেশ করা হয় চিনের তরফে। এই বৈঠক সম্পর্কে বৈজিংয়ের তরফে এদিন বলা হয় যে ভারত-চিন সেনা স্তরের এই বৈঠকের আলোচনা বেশ ইতিবাচক হয়েছে। অবশ্য ইতিবাচক বার্তা দিলেও দিল্লিকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারিও দেয় চিন।
সোমবার ভারত-চিন সীমান্তে বৈঠক
সোমবার ভারত-চিন সীমান্তের ভারতীয় দিকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নিয়ে সপ্তমবার মুখোমুখি হলেন দু'দেশের সেনার উচ্চ-পর্যায়ের আধিকারিকরা। ১১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চুশুলে গতকাল দুপুর ১২টা নাগাদ উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় রাত ১১টা ৩০মিনিট নাগাদ।
বৈঠককে ইতিবাচক আখ্যা দিল চিন
তবে বৈঠককে ইতিবাচক আখ্যা দিলও শেষ পর্যন্ত এই বৈঠক থেকে কোনও সুরাহা সেভাবে বেরিয়ে আসেনি বলেই খবর মিলেছে সূত্র মারফত। ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন ১৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনেরাল হরিন্দর সিং। ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব (পূর্ব এশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব।
সীমান্ত এলাকা শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে
এদিন চিনের তরফে সেনা স্তরের এই বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, 'উভয় পক্ষই বৈঠকে থেকে ইতিবাচক ফল নিয়ে বেরিয়ে এসেছে। একে অপরকে বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে দুই দেশই সম্মত হয়েছে। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে উপনীত হওয়া বিষয়গুলিকে বাস্তবায়িত করা হবে। সীমান্ত এলাকা শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।'
বেজিংয়ের হুঁশিয়রি
তবে বৈঠককে ইতিবাচক আখ্যা দিলেও সীমান্ত সমস্যার জন্যে ঘুরিয়ে সেই ভারতের ঘাড়েই দোষ চাপানো হয়েছে। বলা হয়, সীমান্তে ভারতীয় সেনার পরিকাঠামো নির্মাণের জেরেই উত্তেজনা বেড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও দেশেরই এমন আর কোনও কাজ করা উচিত না যা থেকে দুই দেশের মধ্যে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। ভারত বেআইনি ভাবে লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে গঠন করেছে। এবং চিন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ভারতের পরিকাঠামোগত নির্মাণ কাজের বিরোধ জানাচ্ছে বেজিং।