ভুটান দিয়ে ঢুকে অরুণাচল দখল করতে গিয়ে বুমেরাং হল চিনের কূটনীতি!স্লগ ওভারে দিল্লির বাউন্সার বেজিংকে
লাদাখ দখলের চেনা ছকেই এবার অরুণাচলের দিকে এগোচ্ছিল ছিন। ইতিমধ্যেই ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত সংলগ্ন একের পর এক দেশে অস্ত্র পাঠিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আঁচ বাড়াচ্ছে চিন। অন্যদিকে, ভুটানের পথ ধরে অরুণাচল প্রদেশের দিকে দখলদারি বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে বেজিং। এমন পরিস্থিতিতে চিনের নিজের অস্ত্রই বুমেরাং হয়ে ফিরে গেল।
ভুটানের পথে চিনের কারসাজি
ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে বহু কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। আর তা হতেই চিন নয়া দাবিতে জানিয়েছে যে ভুটানের ওই ভূখণ্ড তাদের। যা মানতে নারাজ থিম্পু। এরপরই চিনের সঙ্গে ভুটানের সংঘাতের পারদ চড়ে।
ভুটানের পথে অরুণাচল
ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্য আন্তর্জাতিক আর্থিক অনুদানের সাহায্য পেতেই চিনের নজর পড়েছে সেই অভয়ারণ্যে। এবার সাকতেং অভারণ্যের দখল নিতে এগিয়ে যেতে শুরু চিন। তবে সাকতেং এর আড়ালে চিনের মূল লক্ষ্য় অরুণাচল প্রদেশ। সাকতেং সংলগ্ন অরুণাচল প্রদেশ আপাতত চিনের সাম্রাজ্য বিস্তারের নয়া পন্থা। এই ঘটনাবলী পর্যন্ত অনেকেই জানেন। কিন্তু এরপর থেকেই ঘটনাক্রম মোড় নিয়েছে নয়া দিকে।
২৪ বার আলোচনা ও ভুটান-চিন সম্পর্ক
১৯৮৪ সাল থেকে ভারত ও ভুটান সম্পর্কে অন্তত ২৪ টি পর পর আলোচান হয়েছে ভুখণ্ড সম্পর্কে। শেষবার ২০১৬ সালে আলোচনা হয়। তারপরও ২০১৭ সালের ডোকলাম সংঘাত দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লি ও বেজিং এর সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল থিম্পু। তবে চিনের বিদেশ ও সাম্রাজ্যবাদের নীতি তাতে বাধ সাধে। বেজিং , থিম্পু দূরে সরে গিয়েছে বারবার।
ভারত কীভাবে এগিয়েছে?
চিনের সঙ্গে ভুটানের সম্পর্ক খানিকটা তলানিতে যেতেই দিল্লি তা নজরে রাখতে শুরু করেছে। এবার চিনের আস্ফালন উত্তরপূর্ব ভারত সীমান্তে হতেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতে নতুন রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করতে শুরু করে ভারত। যা চিনকে প্রতিরাক্ষায় মাত দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
থিম্পুর কাছে দিল্লির প্রস্তাব!
এবার যখন ভুটানের, ডোকলাম, সিনচুলুং, ড্রামান সহ একাধিক এলাকা নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে, তখন দিল্লি ভুটানের কাছে রাখছে অন্য এক প্রস্তাব। দিল্লি এবার ঠিক করেছে, ভুটানের ত্রাশিংগাং জেলার সাকতেং অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে অরুণাচল ও গুয়াহাটির মধ্যে সড়কপথ গড়ার কথা। আর সেই প্রস্তাবই এবার থিম্পুর সামনে দিল্লি রাখবে বলে খবর। এক্ষেত্রে চিন ও ভারতের মধ্যে কাকে ভুটান বেছে নেবে সেদিকে নজর রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার। উল্লেখ্য , সাকতেং হোক বা ডোকলাম, সমস্ত ক্ষেত্রেই ভুটানের দাবি দাওয়াকে সম্মতি জানিয়ে থিম্পুর ঢাল হয়ে এতদিন লড়েছে দিল্লি।