লাদাখের হাড়হিম করা ঠাণ্ডার মাঝে বড়সড় ধাক্কা লালফৌজের, আগাম প্রস্তুতিতেই বাজিমাত ভারতীয় সেনার
লাদাখের হাড়হিম করা ঠাণ্ডার মাঝে বড়সড় ধাক্কা লালফৌজের, আগাম প্রস্তুতিতেই বাজিমাত ভারতীয় সেনার
সাত মাসেরও বেশি সময় কেটে গেলেও আজও মেলেনি কোনও রফাসূত্র। এখনও প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীরে গত তিন মাস ধরে মুখোমুখি অবস্থান করছে ভারত ও চিনা সেনা। এদিকে লালফৌজের চোখ রাঙানির মাঝেও লাদাখের চরম ঠাণ্ডার সঙ্গে যুঝতে গত সেপ্টেম্বর থেকেই পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা।
তামমাত্রা কমতেই বিপাকে লালফৌজ
এদিক বর্তমানে লাদাখের একাধিক এলাকায় তাপমাত্র প্রায় - ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছে। নজরদারি তো দূর, সঠিক সুরক্ষ ব্যবস্থা ছাড়াএই হাড় হিম করা ঠাণ্ডায় জীবনধারণ করাই যে কোনও মানুষের পক্ষে দুষ্কর হয়ে পড়ে। আর এখানেই আগাম প্রস্তুতি না রেখে খানিকটা হলেও ভারতীয় সেনার থেকে পিছিয়ে পড়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এমনকী শীতের কারণে সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রতিদিনই ফ্রন্ট লাইনের সেনাদের সরিয়ে নিচ্ছে চিন।
মাইনাস ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রিরও নীচে নেমে যায় পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা
এদিকে প্রতি বছরেই শীতের মরসুমে মাইনাস ২০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায় পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা। পাশাপাশি উচ্চতম ফিঙ্গারগুলিতে আরও পারাপতন লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কৌশলগত কারণেই উচ্চ স্থানগুলি নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে দু-দেশের সেনাই। আর সেখানেই শীতের করাল থাবায় জর্জরিত সেনা জওয়ানেরা। এমনকী এই সমস্ত এলাকার তাপমাত্রা আগামী কিছুদিনে মাইনাস ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রিরও নীচে নেমে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
কাজে আসছে সিয়াচেনের অভিজ্ঞতাও
সূত্রের খবর, এই অতিভারী ঠাণ্ডার সঙ্গে যুঝতে আগাম কোনও প্রস্তুতি সেরে রাখেনি চিন। অবশেষে গত কয়েকদিন আগে থেকে তৎপরতা বাড়িয়েছে লালফৌজ। বর্তমানে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা সেনাদের জন্য অবশেষে শীতবস্ত্র পাঠানো শুরু করেছে বেজিং। যদিও পূর্ব লাদাখের ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যান্ত সেনা ঘাঁটি রয়েছে দু-দেশেরই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে সিয়াচেন হিমবাহ রক্ষা করে আসছে ভারতীয় সেনা। সেই অভিজ্ঞতাও প্রবল ঠাণ্ডায় লাদাখ প্রহড়ায় তাদের বিশেষ সাহায্য করবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
জয়েন্ট লজিস্টিক্স সাপোর্ট ফোর্স তৈরি করেছে পিএলএ
সূত্রের খবর, জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র তৈরির জন্য পিএলএ-র জয়েন্ট লজিস্টিক্স সাপোর্ট ফোর্স (জেএলএসএফ) তদারকি দলও গঠন করেছে। যাদের মাধ্যমেই ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা সেনাদের শীতবস্ত্র সরবরাহের কাজ করচে বেজিং। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, লাদাখ এর আগে দু-দেশই বিভিন্ন সময় সেনা নজরদারি চালালেও দীর্ঘদিন থেকেই ১০ হাজারের ফুটের উপরে বিশেষ অবস্থান করতে হয়নি কোনও দেশকেই। তাই আগাম প্রস্তুতি সেরে না রাকাতেই বিপাকে লালফৌজ।
'মাথামোটা-গবেট দিলীপ', বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে পাল্টা আক্রমণে বিঁধলেন সৌগত রায়