ফের লাদাখে সামরিক তৎপরতা চিনের! সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ানোর ছক কষছে পিএলএ
যেহেতু অদূর ভবিষ্যতে এই সীমান্ত সমস্যা মিটে যাওয়ার কোনও আশু সম্ভাবনা নেই। ভারত ও চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন আগের মতোই রয়েছে৷ তবে চিন ১০ হাজার বাহিনীকে সরিয়ে দিয়েছে৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি কোনও এলাকায় তাদের মোতায়েন করে রাখা ছিল৷ সরকারি একটি সূত্রের খবর, ওই বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য সরানো হয়েছে৷

বরফ গললেই চিন আগ্রাসন দেখাতে পারে
গত বছরের মে মাসে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে গোলমাল বাধে। সেই টানাপোড়েন এখনও চলছে। সেনার তরফে ওই এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। শীতের সময় যাতে চিন আগ্রাসন দেখাতে না পারে, সেই কারণে আগেই ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে ভারতীয় সেনা। তবে এই ধরনের পরিবেশে না থাকার চরম অনভিজ্ঞতা নিয়ে প্রবল সমস্যায় চিনা ফৌজ। তাই দুই মাস পর বরফ গললে পড়ে চিনা সেনা ফের তৎপরতা দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

কোনও আলোচনা থেকেই কোনও সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি
তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় উঁচু জায়গায় লড়াই চালানো কঠিন বলে চিন গ্রীষ্মের জন্য অপেক্ষা করছে। মে মাস নাগাদ তারা আবার পূর্ব লাদাখে অশান্তি ছড়াতে পারে। এখনও পর্যন্ত ব্রিগেড কম্যান্ডার স্তরে ডজন খানেক বৈঠক করেছে দুই দেশ। বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষকর্তা স্তরেও হয়েছে বহু বৈঠক, বহু আলোচনা। কিন্তু কোনও বৈঠক, কোনও আলোচনা থেকেই কোনও সুষ্ঠু সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি।

সেনাবাহিনীকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে
গত বছরের একটা বড় সময় ভারতীয় সেনাকে দেশের উত্তর সীমান্তে চিনের বিরুদ্ধে সতর্কতা বজায় রাখতে হয়েছিল৷ পাশাাপাশি কোভিড পরিস্থিতিও যে সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল। সেনার তরফে সেই চ্যালেঞ্জ যথাযথ ভাবে পালন করা হয়েছে৷ তবে আগামিদিনেও সেনাবাহিনীকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

নকশা অনুযায়ী চলার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি চিন
ড্রাগনের দিক থেকে সেই নকশা অনুযায়ী চলার কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তারা প্যানগং হ্রদের পাশ থেকে এক ইঞ্চিও সরেনি। এর ফলে ওই এলাকায় অশান্তি একটুও কমেনি। ওই অঞ্চলে নিজেদের ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করা ছাড়াও তারা ইন্দো তিব্বত সীমান্ত এবং অরুণাচল প্রদেশে নতুন গ্রাম তৈরি করছে।