কোরোনা ভাইরাসের জেরে মৃত্যু ১৭ জনের, পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করা হল চিনের উহান শহরে
চিনের উহান থেকে যাবতীয় পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হল। ফ্লাইট সহ সমস্ত পাবলিক পরিবহন স্থগিত করে চিন সরকার জানিয়েছে চিনা ভাইরাস করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতেই এই ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই উহানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। অসুস্থ আরও ৫৭১ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসটির বিশ্বব্যাপী প্রভাব মোকাবিলা করতে বুধবার একটি জরুরি সভা ডাকে। চিনে এই মহামারীটি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের। জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার পরিস্থিতিতে এটি পৌঁছেছে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবারও এই আলোচনা চলবে।
এদিকে চিনা ভাইরাস করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা নিতে চলেছে কেন্দ্র৷ গত দুই দিনে এই ভাইরাসে নতুন করে আরও ১৩৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে চিনে। এরপরেই ভারতের বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি হল৷ পাশাপাশি কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের তরফে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা মন্ত্রককে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷
জানা গিয়েছে রাজধানীসহ মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরে বিশেষ থার্মাল স্ক্রিনিং চালু করতে বলা হয়েছে৷ নতুন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভালোভাবে যাচাই করে নিতে বলা হয়েছে৷ পাশাপাশি চিন থেকে ভারতে আসতে চাওয়া মানুষের ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার সময়ই আবেদনকারীর শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। চিন থেকে আসা কোনও বিমানে কেউ যদি অসুস্থ বোধ করে তবে তা দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে ৷
কেন্দ্র জানিয়েছে, চিন ছাড়া ভিন দেশ থেকে আসা সমস্ত বিমানের ক্ষেত্রেই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে৷ পাশাপাশি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পর চিনের উহান শহর থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের বিস্তারিত তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক৷
চিন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলির ভারতীয় দূতাবাসগুলিতেও নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ চিনের বাইরে জাপান ও থাইল্যান্ডেও এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর এসেছে৷ এর আগে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা এসএআরএস-এর সংক্রমণে সারা বিশ্বে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ভাইরাসটির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের চরিত্রের বিশেষ মিল রয়েছে৷ তাই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস নিয়ে৷ সবমিলিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র৷