ফের নিশানায় চিন-পাকিস্তান! সন্ত্রাসবাদ দমনে এসসিও বৈঠক থেকেই কড়া বার্তা মোদীর
চিনের চোখে চোখ রেখেই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক থেকেই এদিন কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের পর এই প্রথম চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম বৈঠক সারলেন মোদী।

সন্ত্রাসবাদ দমনেও চিন-পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদীর
এদিকে করোনার কারণেই এবারের বৈঠক প্রথমবারের জন্য ভার্চুয়ালই মোডে হচ্ছে। এসসিও সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও উপস্থিত ছিলেন। করোনার প্রতিকূল প্রভাব থেকে মুক্তির উপায়, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বাড়বাডন্ত সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান নিয়েও বিশদে আলোচনা চলে বলে খবর।

সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার শ্রদ্ধা রেখেই কাজ করার ডাক
তবে এই ক্ষেত্রে চিন ও আমেরিকাকে রীতিমতো কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় মোদীকে। মোদীর সাফ জবাব, প্রতিটি দেশ একে অপরের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে না কাজ করলে সমস্যা আরও বাড়বে এবং সমাধানের রাস্তাও কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোদীর এই মন্তব্যের পরই সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু তুলে পাল্টা জবাব দিতে উদ্ধত হতে দেখা যায় ইমরান খানকে।

ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত মোদী
তখনই ইমরানকে একহাত নিয়ে জানান, " কয়েকটি দেশ বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয়কে এই ফোরামের আলোচনার বিষয় করতে চাইছে। যা কখনওই মেনে নেওয়া যায়না। এই অপচেষ্টা এই মঞ্চের ঐকমত্য এবং সহযোগিতার চেতনার পরিপন্থীও বটে।" অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গেও একাধিকবার পাকিস্তানের নাম না করে খোঁচা দিতে দেখা যায় মোদীকে। এমনকী সন্ত্রাসবাদ দমন প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে চাপে রাখতে একটি বৈশ্বিক কার্যবিধিরও প্রণয়নেরও ডাক দেন তিনি। যা মানতে বাধ্য থাকবে প্রায় প্রতিটি দেশই।

করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসার সুর মোদীর গলায়
এদিকে ভারত, চিন, পাকিস্তান ছাড়াও সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে রয়েছে কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের মতো দেশও। বিশ্বের মোট জিডিপির ২০ শতাংশের বেশি জিডিপির নিয়ন্ত্রকই এই আট রাষ্ট্র জোট। এদিকে এদিনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, এসসিও-র সেক্রেটারি-জেনারেল রশিদ আলিমভ ছাড়াও পর্যবেক্ষক চার রাষ্ট্রের নেতারা অংশ নেন বলে জানা যায়। এদিনই করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা নিয়েও বিশেষ প্রশংসার সুর শোনা যায় মোদীর গলায়।

বাংলায় ভোট মানেই হিংসা কেন? বিহার ভোটের তুলনা টেনে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশের