লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিনের প্যাঁচালো কূটনীতিকে ঝাঁঝালো জবাব ভারতের! দিল্লি-বেজিং টক্কর তুঙ্গে
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিনের প্যাঁচালো কূটনীতিকে ঝাঁঝালো জবাব ভারতের! দিল্লি-বেজিং টক্কর তুঙ্গে
জমি কিছুতেই ছাড়বে না ভারত। চিনকে সাফ বার্তায় যা বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি। লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বেজিং এর ববু প্যাঁয়তারাকে মুহূর্তে তুড়ি মেরেছে দিল্লি। এবার চিন মাইন্ড গেম এর ভরসায় নয়া কূটনীতি খেলছে । একনজরে দেখে নেওয়া যাক চিন-ভারত সংঘাতের গতিবিধি কোনদিকে?
বেজিং এর কভার আপের চেষ্টা
উল্লেখ্য, লাদাখ নিয়ে বহুদিন ধরেই কভার আপ করার চেষ্টা করছে বেজিং। কূটনৈতিক চালে তারা বিশ্বকে জানাচ্ছে যে ভারত সীমান্তে পরিস্থিতি আপাতত শান্তি পূর্ণ, ডিসএনগেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে, তবে ঘটনাস্থলে চিনে সেনাকে সরাচ্ছে না তারা।
চিন কী চাইছে?
সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারত ঘরোয়া লাড়াইয়ের হাত ধরে যাতে লাদাখে পিছু হঠে যায়, তার চেষ্টায় রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে ওয়েবসাইটে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে ভারতের রাজনীতিকদের মত পার্থক্য়কেও নজরে রেখেছে বেজিং। চিন চাইছে আগে ভারত নিজের থেকে শান্তি রক্ষা দেখাতে সরে যাক, বা উল্টোভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিক। তারপর হয় বিশ্বের সামনে ভারতকে অপদস্ত করবে চিন, নয় নিঃসাড়ে ফের লাদাখে দখলদারি করবে।
আকসাই চিনে মাটি দখলের সংঘাত
চিনের লালফৌজ চাইছে যাতে আকসাই চিনে তাদের দখল প্রবল পরিমাণে থাকে। তাই আকসাই চিন এলাকায় পিএলএ-র তরফে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে ভারত সেই মতো ভীষ্ম টি৯০ ট্যাঙ্কের এর একটি স্কোড্রন, অর্থাৎ ১২টি ট্যাঙ্ক সেখানকার সীমান্ত রক্ষার লক্ষ্যে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় সেনা। এছাড়া ৪০০০ জন সৈনিকের একটি আস্ত ব্রিগেডও সেখানে ডিবিওতে মোতায়েন করেছে ভারত। প্রসঙ্গত, এই নতুন ব্রিজ তৈরি হওয়াতে ডিবিওতে সড়ক পথে ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া আরও সহজ হয়ে যাবে।
লাদাখে কী ঘটছে?
লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে গ্রিন টপের উপর থেকে চিনা সেনা দখলদারি সরাতে না চাওয়াতেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও তিক্ত হচ্ছে চিনের। জানা গিয়েছে রবিবার মোলডোতে অনুষ্ঠিত ভারত-চিন বৈঠকেও দিল্লির পক্ষ থেকে পিএলএ-কে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়। তবে চিনা সেনা এই বিষয়ে একগুঁয়ে মনোভাব পোষণ করছে। আর এতেই আরও পারদ ছড়ছে সীমান্তে।
ভারতের সাফ জবাব
চিন এর আগে জানিয়েছে, ১৪ সপ্তাহের সীমান্ত সংঘাত শেষ করতে হলে, সেনা সরাতে হবে পূর্ব লাদাখের আরও কিছু এলাকা থেকে। ফলে ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া আরও বাড়াতে হবে। যা মেনে নেয়নি ভারত। ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, লাদাখের বুক থেকে আর সেনা সরাতে পারবে না দিল্লি। সেনা সরানোর প্রস্তাবও অসমর্থনীয়।
চিন-কংগ্রেস আঁতাত নিয়ে ফের সরব বিজেপি! রাহুল-সনিয়াকে আক্রমণে ঝাঁঝরা করলেন নাড্ডা