অরুণাচল কাণ্ডে পিছপা চিন! চাপে পড়ে ৫ ভারতীয়কে ফিরিয়ে দেওয়ার বার্তা বেজিংয়ের
লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝেই নতুন ঘটনা ঘটে। চিনা সেনা পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণ করেছে। দাবি জানান অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক নাইনং এরিং। তবে সেই অপহরণের তদন্ত শুরু হলেও প্রথমে কোনও অগ্রগতি হয়নি তাতে। চিনও প্রথমে বলেছিল যে অরুণাচল প্রদেশের নিখোঁজ পাঁচ ভারতীয় সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নন। তবে পরে তাদের বক্তব্য থেকে পিছপা হয় চিন। আর এবার চাপে পড়ে চিন সেই পাঁচ ভারতীয়কে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলল বেজিং।

পাঁচ ভারতীয়কে ভারতের হাতে তুলে দেবে চিন
এদিন বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়, যে আগামীকাল, অর্থাৎ শনিবার সেই পাঁচ ভারতীয়কে ভারতের হাতে তুলে দেবে চিন। সে কথা নিজে টুইট করে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ মার্চ ২১ বছরের এক যুবককে অপহরণ করে চিনা সেনা। সুবনসিরি জেলার ম্যাকমোহন রেখার কাছ থেকে ওই যুবককে অপহরণ করা হয়। ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনা যখন চরমে, ঠিক তখন পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণের অভিযোগ ওঠে চিনা সেনার বিরুদ্ধে।

কবে থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণাচলপ্রদেশের পাঁচ যুবক
৪ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণাচলপ্রদেশের পাঁচ যুবক। শোনা যাচ্ছিল, চিনের সেনারা তাঁদের অপহরণ করেছে। এই নিয়ে ভারতীয় সেনার তরফে একটি হটলাইনে বার্তা পাঠানো হয়েছিল চিনকে। পরে জবাবে চিন জানায়, ওই পাঁচ নিখোঁজ ভারতীয় চিনের ভূখণ্ডেই রয়েছে। হটলাইন ম্যাসেজের উত্তরে একথা স্বীকার করে চিনের লিবারেশন আর্মি।

কী করতেন সেই পাঁচ যুবক?
ওই পাঁচ যুবক অরুণাচল প্রদেশের সুবনসিরি জেলার বাসিন্দা। তাঁরা ভারতীয় সেনার পোর্টার ও গাইডের কাজ করতেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়, গত সপ্তাহের শুক্রবার জঙ্গলে কাজ করতে যাওয়ার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদের।

নিখোঁজ হওয়ার খবর কীভাবে প্রকাশ পায়?
পাঁচ ভারতীয়র অপহরণের কথা প্রথমে এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান। প্রকাশ রিংলিং নামে ওই ব্যক্তির দাদা ও আরও চারজনকে চিনা সেনা অপহরণ করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় সেনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। পাঁচজনকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার আর্জি জানান তিনি। পাশাপাশি নিখোঁজ পাঁচজনের নামের তালিকাও দিয়ে দেন প্রকাশ। তাঁর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজরা হলেন - তনু বকর, প্রসাদ রিংলিং, গাড়ু ডিরি, ডোংতু এবিয়া, টচ সিঙ্গকম।

লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফিরবে জয়শঙ্কর-ওয়াং বৈঠকের পর? নির্ভর করছে একজনের উপর!