আবারও চিনের সঙ্গে ভারতের সম্মুখ সমরের আশঙ্কা! চতুর্দিক দিয়ে সীমান্ত 'লঙ্ঘন' চিনের
গালওয়ান কাণ্ডের পর আবারও চিনের সঙ্গে ভারতের সম্মুখ সমরের আশঙ্কা৷ দুটি চিনা গাড়ি কয়েকদিন আগে ভারতের অধীনে থাকা লাদাখের এলাকায় ঢুকেছিল। যদিও এই ঘটনা নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি সরকারের তরফে। তবে এনিয়ে সরব হয়েছে সেখানকার স্থানীয় মানুষরা। এদিকে চিনারা ওই এলাকায় স্থানীয় যাযাবরদের পশুচারণে আপত্তি করছিল।
জলের সুষম বণ্টন নিয়ে ফের ভারত-চিন বিবাদ
এদিকে জলের সুষম বণ্টন নিয়ে ফের ভারত-চিন বিবাদ তৈরি হতে পারে৷ সংবাদমাধ্য়মের হাতে আসা তথ্য় বলছে, বিশ্বের উচ্চতম নদী ইয়ারলুং জ্য়া়ংবোর উপর বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বেজিং৷ যার বাস্তবায়নে কপাল পুড়বে ভারতের৷ কারণ, বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ হলেই নদীপথের পরবর্তী নিচু এলাকায় জলের প্রবাহ কমে যাবে৷ তাতে জলধারার সরবরাহ কমবে ভারতের অংশে৷
ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ তৈরি ঘিরে বিতর্ক
প্রসঙ্গত, ইয়ারলুং জ্য়াংবো আদতে ভারতের ব্রহ্মপুত্রের চিনা পরিচয়৷ পরবর্তীতে এই নদী তিব্বত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে৷ ভারতের আমরা এই নদীকে ব্রহ্মপুত্র নদ হিসাবেই চিনি৷ জলবণ্টন চুক্তি অনুসারে, ব্রহ্মপুত্র থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল পাওয়ার অধিকার রয়েছে চিনের দুই পড়শি ভারত ও বাংলাদেশের৷ সেক্ষেত্রে এই তিন পক্ষের কোনও একজন যদি নদীবক্ষে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করে, তবে তা রূপায়ণের আগে অবশ্য়ই সবাইকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে৷
জটিলতা তৈরি হচ্ছে
বলা বাহুল্য়, চিন এসবের ধার ধারেনি৷ আর জটিলতা তৈরি হচ্ছে সেখানেই৷ চিনের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্কে চিড় ধরলেও বাংলাদেশ কিন্তু বরাবরই বেজিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই চলেছে৷ তবে ইয়ারলুং জ্য়াংবোর উপর বাঁধ দেওয়ার প্রশ্নে তারাও নয়াদিল্লির পাশেই দাঁড়িয়েছে ঢাকা৷ চিনের এই দাদাগিরির তীব্র প্রতিবার জানিয়েছে শেখ হাসিনার দেশও৷
সংঘাত বাড়বে বলেই আশঙ্কা
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশই নয়৷ চিনের দাদাগিরিতে ভুগতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশকেও৷ ইতিমধ্য়েই চিনের বৃহত্তম নদী মেকংয়ের উপর ১১টি বিশাল বাঁধ তৈরি করেছে বেজিং৷ যার ফলে মায়ানমার, লাওস, থাইল্য়ান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে ওই নদীপথে জলের প্রবাহ মারাত্মক কমে গিয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর বাস্তুতন্ত্র৷ যদি ইয়ারলুং জ্য়াংবোতেও বাঁধ নির্মাণে অনড় থাকে চিন, তাহলে আগামী দিনে তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে তার সংঘাত বাড়বে বলেই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের৷