গত দু’বছরের মধ্যে ভারতের সীমান্তে ১০২৫ বার প্রবেশ করে চীন, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
গত দু’বছরের মধ্যে ভারতের সীমান্তে ১০২৫ বার প্রবেশ করে চীন, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
ভারতের সীমান্তে ১০২৫ বার অবৈধভাবে ঢোকে চীনা সেনারা। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে হাজারেরও বেশি বার আইন ভঙ্গ করে ভারতে ঢুকে পড়ে চীনারা। সরকারি তথ্যে এমনটাই জানা গিয়েছে।
বুধবার লোকসভায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক যে রিপোর্ট পেশ করে সেখান থেকে জানা গিয়েছে, চীনা সেনারা ২০১৬ সালে ২৭৩ বার এবং ২০১৭ সালে ৪২৬ বার ভারতে ঢোকে। ২০১৮ সালে ৩২৬ বার অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে চৈনিক সেনারা। এই বিষয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার জবাবে জানান, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিভিন্ন অপারেশন ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে চীনের বহিরাক্রমণের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নায়েক লোকসভায় জানান যে ভারত ও চীনের মধ্যে সাধারণভাবে বর্ণিত কোনও নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) নেই এবং এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যা নিয়ে উভয় পক্ষই আলাদা আলাদা ধারণা পোষণ করে। রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'উভয় পক্ষই সীমান্তরেখা টহলদারির সময়ই সীমা লঙ্ঘন করে ফেলে। দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী যে কোনও মিশন ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, সরকার সেদিকে নজর রাখছে।’
ভারত–চীনের নিয়ন্ত্রণ রেখা ৩,৪৮৮ কিমি বিস্তৃত। চীনের দাবি, ভারতের অরুণাচল প্রদেশে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। সীমান্ত–সমস্যা নিয়ে উভয় পক্ষই কোনও ধরনের সমাধানে যেতে রাজি নয়। কিন্তু সীমান্তে শান্তি ও স্থির অবস্থা বজায় রাখা প্রয়োজন। ভারত এবং চীন দু’পক্ষই বিশেষ প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রায় ২০ বার এই সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা করেছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। ২০১৭ সালে ভারত ও চীনের সেনারা ৭৩দিনের ঠান্ডা লড়াইয়ে নেমেছিল ডোকা লা নিয়ে। এই ডোকা লাতে চীনের সেনারা রাস্তা নির্মাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনা তাতে বাধা দেয়। অন্যদিকে ভুটান জানায় যে ডোকা লা তাদের জায়গা। এরপর কূটনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে এই বিষয়টির সমাধান হয়। নায়েক জানান, অক্টোবরে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিংপিংয়ের ভারত সফরের সময় সীমানা সংক্রান্ত আলোচনা ভারত ও চীনের মধ্যে হয়েছে।