লাদাখ সীমান্তে শান্তি আলোচনা ভারতকে পাল্টা চাপ, কী বলেছিল লালফৌজ?
লাদাখ সীমান্তে শান্তি আলোচনা ভারতকে পাল্টা চাপ, কী বলেছিল লালফৌজ ?
লাদাখ সীমান্তে শান্তি আলোচনার সময় ভারতকে পাল্টা চাপ দিয়ে চিন দাবি করেছিল গালওয়ান উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ রেখার থেকে ৮০০ মিটার দূরে রয়েছে তাদের সেনা। গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে চিনের অবস্থান বদলের প্রথম পদক্ষেপই বুঝিয়ে দিয়েছিল চিন।
ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা
গালওয়ান উপত্যকা নিজেদের দাবি করে প্রথম থেকেই আস্ফালন শুরু করেছিল চিন। সেকারণেই ভারতকে চাপে রাখার সব রকম চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। গালওয়ান উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে চিন ৮০০ মিটার দূরে নিজেদের সেনা মোতায়েন করেছিল। এর থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে গালওয়ান উপত্যকায় অবস্থান বদল করছে লালফৌজ।
নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনা বৃদ্ধি
চিন নিজেদের সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৮০০ মিটার দূরে রাখার কথা দাবি করলেও বাস্তবে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। গালওয়ান উপত্যকার উপর ধীরে ধীরে দখল বাড়ানোই ছিল লালফৌজের লক্ষ্য এমনই জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। যদিও ২২ জুন কমান্ডার পর্যায়ের আলোচনার দিন চিনা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ মিটার দূরে।
ভারতীয় বাহিনীকে পেট্রোলিংয়ে বাধা
অভিযোগ ১৫ জুনের আগে থেকে লালফৌঁজ অনেকটাই এগিয়ে এসেছিল নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে। সেখান থেকে লাগাতার ভারতীয় বাহিনীকে পেট্রোলিংয়ে বাধা দিচ্ছিল। ১৫ জুন এই নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। সেদিন সেখানে পেট্রোলিংয়ের দািয়ত্বে ছিল ১৬ বিহার রেজিমেন্ট। তারপরেই লালফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় সেনার।
আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার
১৫ জুন ভারতের ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার ঘটনা অনেক দেশই সুবিধার চোখে নেয়নি। করোনা ছড়ানোর পর চিনের এই আগ্রাসন নিয়ে অনেক দেশই িচনের উপর সমর্থন তুলে নিয়েছিল। সেই চাপেই চিন পিছু হঠতে বাধ্য হয় বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বাণিজ্যিক দিক থেকেও চাপ বাড়ছিল চিনের উপর।