গালওয়ান উপত্যকার উত্তেজনা নিয়ে দায় এড়াতে মরিয়া চিন! দিল্লিকে কোন বার্তা পাঠাল বেজিং?
সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা কমাতে ভারতের সঙ্গে কাজ রাজি চিন৷ তবে, একইসঙ্গে ভারতকে এগিয়ে আসার বার্তা চিনের রাষ্ট্রদূতের৷ বেজিংয়ের বার্তা, এই সংঘর্ষ ও সন্দেহ দুই দেশের মানুষের মৌলিক ইচ্ছায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷
ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য
একটি সংবাদসংস্থার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে চিনে রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং বলেন, 'ভারত ওচিন নিজেদের দূরত্ব মেটাতে সক্ষম৷ কিন্তু একই সময়ে দিল্লিকেও দায়িত্ব নিতে হবেযাতে পূর্ব লাদাখে পরিস্থিতি আর জটিল না হয়৷ আমরা আশা করছি, চিনের মতো ভারতও এই উত্তেজনা প্রশমনে এগিয়ে আসবে৷ পাশাপাশি এমন কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ করবে যাতে সীমান্তেপরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে৷' একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'বর্তমানে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য।'
ছয় সপ্তাহ ধরে লাদাখে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত-চিন
বিগত ছয় সপ্তাহ ধরে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত-চিন সেনা ৷সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়ে যখন ১৫ জুন গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা৷ ভারতের পাল্টা জবাবে চিনের তরফে হতাহত হন কমপক্ষে ৪৩ জন।
পারস্পরিক সম্মান ও সাহায্য দরকার
চিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'দুই দেশের দীর্ঘকালীন ইচ্ছে পূরণের একমাত্র নিশ্চিত পথ হল পারস্পরিক সম্মান ও সাহায্য৷' একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এই উত্তেজনা কমানোর ভার একমাত্র চিনের নয়৷ সানওয়েইডং বলেন, 'চিন গালওয়ানের মতো আরও একটি ঘটনার মুখোমুখি হতে চায় না৷'
চিনও ভারত দুটোই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ
সানওয়েইডং বলেন, 'চিনও ভারত দুটোই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ৷ এই দুই দেশের সঙ্গে এক বিলিয়নেরও বেশিমানুষের স্বার্থ জড়িত৷ একইসঙ্গে এই দুই দেশেরই নিজেদের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন উপলব্ধির ঐতিহাসিক কাজ রয়েছে৷'
সমস্ত দায় চিনের নয়
চিনের রাষ্ট্রদূতের অভিযোগ, 'সমস্ত দায় চিনের নয়৷ চিনের সেনাদের উসকানি দিতে ও তাঁদরে উপর হামলা করতে ভারতের তরফেনিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করা হয়েছিল৷ দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে যেচুক্তি হয়েছে তা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে ভারতীয় সেনা৷'
লাদাখের আকাশসীমায় এবার চিনা ড্রোন! গালওয়ানে পিএলএ-র অবস্থান নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা