চিনা সেনা লাদাখে অনুপ্রবেশ করেছিল! কেন্দ্রকে তোপ দাগতে ময়দানে এবার অধীর চৌধুরী
'চিনা সেনার পিছু হঠায় প্রমাণ হয়, আমাদের যুক্তিই সত্যি৷ চিনা সেনা আমাদের অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল৷' এদিন টুইটারে এই ভাষাতেই সুর চড়ালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ পাশাপাশি টুইটারে তিনি লেখেন, 'ভারতীয় সেনার মতো হিমালয়ের অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া সহ্য করতে অভ্যস্ত না হওয়ায় চিনা সেনা পিছু হঠতে পারে৷ তবে, এটা আবারও আমাদের যুক্তির সত্যতাই প্রমাণ করে যে, তারা আমাদের অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল৷'
আমরা এক ইঞ্চিও নড়ব না
অধীর চৌধুরী আরও লেখেন, 'ওরা অন্য অধিগৃহীত জায়গা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে৷ কিন্তু, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা এক ইঞ্চিও নড়ব না৷' সোমবারই পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই কিলোমিটার পিছনে সরেছে চিনা সেনা৷ ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পর তাঁবু, গাড়ি ও বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে চিন৷ তবে, গালওয়ান নদীর পার্শ্ববর্তী দুর্গম এলাকায় এখনও অস্ত্রবাহী গাড়ি মোতায়েন রেখেছে চিন৷ ভারতীয় সেনা সেদিকে নজর রেখেছে৷
রাহুল গান্ধীও কেন্দ্রকে তোপ দাগেন
এদিকে এদিন রাহুল গান্ধীও ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগেন। কেন্দ্রকে বিঁধে আবারও একাধিক প্রশ্ন করতে দেখা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল বলেন, যখন জাতীয় স্বার্থ সর্বজনীন হয় তখন সরকারের উচিত যেকোনো মূল্য তা রক্ষা করা। কিন্তু এর আগে কেন গালওয়ানে স্থিতাবস্থার ফেরানোর উপর জোর দেওয়া হয়নি?
লাদাখ ইস্যুতে মোদীকে বারংবার আক্রমণ
এর আগে গালওয়ানের সেনা সংঘর্ষ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিন প্রবেশ করেনি বলে মন্তব্য করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তারপরেই এই ইস্যুতে একের পর এক খোঁচা দিয়ে গেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। মোদীকে 'মিথ্যাবাদীও' বলতে দেখা যায় একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। এদিন গালওয়ানের সার্বভৌমত্বের কথা উল্লেখ করে টুইটারে প্রশ্নবাণ ছোঁড়েন রাহুল।
লাদাখের পরিস্থিতি
১৫ জুন ভারত-চিন সংঘর্ষের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাজুড়ে অস্থায়ী শিবির তৈরি করে চিনা সেনা৷ জবাবে ভারতীয় সেনার তরফেও উপত্যকায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয়৷ পরিস্থিতির সুরাহা করতে সম্প্রতি দুই দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার স্তরে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার সীমান্তরেখা থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সীমান্ত থেকে তাদের গাড়ি, তাঁবুসহ সেনাবাহিনী দুই কিমি পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছে৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে সরাসরি ঘটনাস্থান পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে৷
চিনের বিরুদ্ধে খাপ্পা পাক জনগণ! করোনা উপেক্ষা করে ইমরান-জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় মানুষ