ভারতকে বিদেশ নীতি নিয়ে পরামর্শ চিনের, বেজিংয়ের ভাঁওতাবাজি নিয়ে সতর্ক করলেন ভারতীয় কূটনীতিকরা
ভারতকে বিদেশ নীতি নিয়ে পরামর্শ চিনের, বেজিংয়ের ভাঁওতাবাজি নিয়ে সতর্ক করলেন ভারতীয় কূটনীতিকরা
লাদাখ নিয়ে তোলপাড় করার পর এবার বিদেশনীতি নিয়ে ভারতকে পরামর্শ দিচ্ছে চিন। দিল্লিকে বেজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারত যেন তার বিদেশনীতিতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চলে। এক কথায় আমেরিকার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা ঠিক মেনে নিয়ে পারছেন না জিনপিং।
বিদেশনীতি নিয়ে বেজিংয়ের পরামর্শ
লাদাখ সংঘাতের পর ভারতকে বিদেশনীতি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে বেজিং। জিনপিং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিল্লিকে বলা হয়েছে ভারত যেন তার বিদেশ নীতিতে আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিেয় বিবেচনা করে। অর্থাৎ প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবে।
আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাতেই রাগ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে। একাধিকবার ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একাধিকবার আমেরিকা সফরে গিয়েছে। সেখানে মোদীর জনপ্রিয়তাও বেশি। আমেরিকার সঙ্গে চিনের সংঘাত যখন চরমে ঠিক তখনই ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠতা মেনে নিয়ে পারছেন না জিনপিং।
প্রতিবেশী হিসেবে গুরুত্ব চায় চিন
ভারতের অন্যতম প্রতিবেশি রাষ্ট্র চিন। সেখানে চিনকে গুরুত্ব না দিয়ে আমেরিকাকে কেন গুরুত্ব দেবে ভারত এতেই রাগে ফুঁসছে জিনপিং। সেকারণেই বার বার ভারতের বিদেশনীতিতে আঞ্চলিক শান্তি অর্থাৎ প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে বেজিং।
চিনের দু-মুখো নীতি
বেজিংয়ের এই পরামর্শকে একেবারেই ভাঁওতাবাজি বলে দাবি করেছে ভারতীয় কূটনীতিকরা। কারণ বেজিং মুখে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার কথা বলে নিজেরা আগ্রাসী নীতি নিয়ে থাকে। শুধু ভারত নয় ভুটান, মায়ানমার, তাইওয়ানের সঙ্গেও একই নীতিতে কাজ করেছে চিন।
মমতাকে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে পথে মহিলারা, কুশপুতুল পুড়লো রাহুল সিনহার