আগ্রাসন নিয়ে চিনের চাঞ্চল্যকর বিবৃতি, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা বন্ধের কারণ জানাল চিন
ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ চিনের, সীমান্তে উত্তেজনার ফলেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কৈলাস যাত্রীদের।
চিন নয়, ভারতের সেনাবাহিনী ও আইটিবিপি-ই নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে চিনের সীমানায় ঢুকে পড়েছে। পাল্টা এমনই যুক্তি খাড়া করল চিন। এমনকি সীমান্তে এই উত্তেজনার কারণেই কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে চিন প্রশাসন। ভারতকে অবিলম্বে চিনা সীমানা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছে চিন।
সোমবার সিকিমের ডোকো লা এলাকায় চিনা আগ্রাসনের খবর প্রকাশিত হয়। চিনা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে এসে ভারতীয় সেনার দুটি বাঙ্কার নষ্ট করে দিয়েছে বলেও জানা যায়। অবশ্য এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অথবা সেনাবাহিনীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু সোমবার গভীর রাতেই ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে পাল্টা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার অভিযোগ করেছে চিনা বিদেশমন্ত্রক। সোমবার রাতে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বিবৃতি জারি করেছেন চিনের ডোংলাং এলাকায় ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকি ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীবাহিনীর কারণে চিনা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজে বাধা পাচ্ছে। এমনকি চিনা সীমান্ত বরাবার একটি রাস্তা তৈরিতেও ভারতীয় সেনা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। চিনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনাকে ফিরে আসতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। নাথুলা পাস হয়ে কৈলাস মানস সরোবর পূণ্য়ার্থীদের ঢুকতে না দেওয়ার এটাই প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে চিন। সীমান্তে উত্তেজনা না কমা পর্যন্ত পূণ্যার্থীদের জন্য চিনের গেট খোলা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক। চিনের এই বক্তব্য নিয়েও অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
১৯৬২ সাল থেকেই সীমান্ত নিয়ে ভারত- চিন বিবাদ লেগেই রয়েছে। এরইমধ্যে চিনের সীমান্ত বরাবার ডোংলাং-এ একটি রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে দুই রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। চিনের দাবি, এই রাস্তা তৈরিতে ভারত সরকারের কোনও আপত্তি নেই বলে লিখিত চুক্তি হয়েছে।