তৃতীয় ওয়েভে শিশুদের হাসাপাতালে ভর্তি বাড়ছে, সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা
তৃতীয় ওয়েভে শিশুদের হাসাপাতালে ভর্তি বাড়ছে, সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা
দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১ লক্ষ ৭৯ হাজার স্পর্শ করেছে৷ প্রতিটি রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে৷ কিন্তু দ্বিতীয় ওয়েভের তুলনায় এবারে একটি জিনিস এতদিন কিছুটা হলে স্বস্তিতে রেখেছে সাধারণ মানুষকে, আর তা হল হাসাপাতাল, বেড, অক্সিজেনের জন্য হাহাকার নেই এবার! সংক্রমিতদের বড় অংশ বাড়িতপই সুস্থ হচ্ছেন৷ যাদের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে তাদের বড় অংশও ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপের মতো শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত না হয়েই ফিরে আসছেন সুস্থ হয়ে।
সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা!
কিন্তু এই বিষয়টিকে সামনে রেখে গা'ছাড়া ভাব ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা৷ কারণ সম্প্রতি দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ১৫ বছরের নীচে থাকা করোনা সংক্রমিত শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন করোনা বিশেষজ্ঞরা৷ সূত্রের খবর শেষ কয়েকদিনে শুধুমাত্র দিল্লিতেই ৩১ জন শিশু করোনা পজিটিভ হয়ে দিল্লির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে৷ যাদের প্রত্যেকের বয়স ১৫ বা তার নীচে!
কিন্তু কেন শিশু ভর্তি বাড়ছে দিল্লিতে?
চিকিৎসকদের বড় অংশের মতে ১৫ বছরের নীচের এই সেক্টরটি এখনও করোনার ভ্যাকসিন পায়নি৷ পাশাপাশি করোনার প্রথম দুটি ওয়েভে এই সেক্টরের মানুষরাই সবচেয়ে কম সংক্রমিত ছিল৷ স্বাভাবিকভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যিনি এর আগে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কিলবা করোনার দুটি ডোজ নিয়েছেন তাঁর থেকে ১৫ বছরের নীচের শিশুটির শরীরে করোনা উপসর্গ একটু বেশি৷ এবং সে কারণেই এবার দিল্লিতে শিশু ভর্তির ঘটনা বাড়ছে৷
প্যানিকের প্রয়োজন নেই!
তবে করোনা সংক্রমিত হয়ে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা নিয়ে সতর্ক হতে বললেও প্যানিক করতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা৷ কারণ যে সব শিশুরা করলনা পজিটিভ হয়ে হসপাতালে ভূতি হচ্ছেন তাদের বড় অংশেরই কোমরবিডিটি রয়েছে৷ এবং তারপরও তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যাচ্ছেন৷
কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক?
পুরো বিষয়টি নিয়ে মধুকর রেইনবো পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভিস্ট, সিনিয়র কনসালটেন্টডাঃ চন্দ্রশেখর সিংহ বলেন, করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনে এরকম শিশুদের যাদের বেশি জ্বর থাকছে, মুখ দিয়ে ওষুধ খেতে পারছে না৷ ভয়েস বক্সে ল্যারিঙ্গো-ট্র্যাকিও ব্রঙ্কাইটিস সংক্রমণের কারণে শ্বাসকষ্ট রয়েছে এরকম শিশুদেরই হাসপাতালের চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে নেবুলাইজেশন চিকিত্সা দেওয়ার মাধ্যমে এই শিশুদের দ্রুত সুস্থ করা সম্ভব বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক।