রাহুল গান্ধীর নামে নোটিশ জারি মহারাষ্ট্রের চাইল্ড রাইটস কমিশনের, কিন্তু কেন
টুইটারে নিগৃহীতা দুই দলিত নাবালিকার মুখ-সহ নগ্ন ছবি পোস্ট করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করলো মহারাষ্ট্রের স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নামে নোটিশ জারি করলো মহারাষ্ট্রের স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস (এমএসপিসিআর)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি টুইটারে দুই নাবালিকার মুখ-সহ নগ্ন ছবি পোস্ট করেছেন। কেন তিনি এমন করলেন তা জানানোর জন্য ১০ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার ওয়াকাদি গ্রামের দুই দলিত কিশোরীকে নগ্ন করে অত্যাচার করা হয়েছিল। তাঁর ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে রাহুল সেই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে প্রতিবাদ করেন। এতে অসুবিধা ছিল না। কিন্তু ভিডিও-তে নাবালিকাদের মুখ প্রকাশ পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
এ নিয়ে গত ১৯ জুন অমল যাদব নামে চিরাবাারের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই এই নোটিশ জারি করেছে কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রবীন গুঘে জানান, জুভেনাইল জাস্টিস-এর ৭৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী নাবালক-নাবালিকার ক্ষেত্রে কোনও তদন্ত, কোনও রিপোর্টেই নাবালিকা বা বনাবালকের পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। সেই সঙ্গে পকসো আইনের ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী যৌন নির্যাতনের মামলাতে কোনও প্রতিবেদন বা কোন ব্যকাতি আক্রান্ত নাবালক বা নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করতে পারে না। এই দুটি ধারা দর্শিয়েই রাহুলের জবাব চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'তাঁর (রাহুলের) পোস্ট করা ভিডিও-য় ওই শিশুদের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভিডিও-টি ভাইরাল হয়ে যায়।'
গত ১৫ জুন রাহুল ভিডিও-টি পোস্ট করেন। ভিডিও-টিতে দেখা গিয়েছিল দুই দলিত কিশোরী গ্রামের একটি কূয়োয় স্নান করতে যাওয়ায় 'অপরাধে' এক গ্রামবাসী তাদের শাস্তি দিচ্ছে। প্রথমে তাদের জোর করে বিবস্ত্র করা হয়। তারপর প্রথমে চামড়ার বেল্ট দিয়ে পড়া একটি গাছের ডাল দিয়ে তাদের বেদম প্রহার করা হয়।
এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে রাহুল আরএসএস ও বিজেপি-কে সমাজে দ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে বিদ্ধ করেছিলেন। এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদের আহ্বানও জানান। যার জেরে মহারাষ্ট্রের পুলিশ ওই ব্যক্তি সহ আরও এক গ্রামবাসীকে পকসো আইনে গ্রেফতার করে। কিশোরীদের কাউন্সেলিং করায় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় বিপাকে পড়লেন রাহুলই।