আরটিআইয়ের আওতায় প্রধান বিচারপতিও? মামলার চূড়ান্ত রায় দেবেন প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতিও কী পড়েন আরটিআই আইনের আওতায় এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান হবে আগামিকাল। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ দুপুর ২টো নাগাদ এই রায়দান করবে।
প্রধান বিচারপতিও কী পড়েন আরটিআই আইনের আওতায় এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান হবে আগামিকাল। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ দুপুর ২টো নাগাদ এই রায়দান করবে। বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি এনভি রমনা, বিচাপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। জনগণকে জানানোর জন্য শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটেও রায় দেওয়া হবে।
আরটিআই আইনের আওতায় কী প্রধান বিচাপতিও
একটি বড় মামলার রায়দান হতে চলেছে আগামিকাল। অযোধ্যা মামলার পর একে বড় মামলাই বলা চলে। কারণ এই মামলায় বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি করা হয়েছিল। আরটিআই আন্দোলনকারী এস সিআরওয়াল মামলাটি করেছিলেন। যদিও এই মামলার রায়দান সু্প্রিম কোর্টে না করার আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আবেদনে তিনি লিখেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট তার নিজের মামলার রায়দান করতে পারে না।
দিল্লি হাইকোর্টের রায়
২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি এই মামলার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায়ে বলা হয়েছিল প্রধান বিচারপতিও আরটিআইনের আওতার মধ্যে পড়েন। কারণ বিচারের স্বাধীনতা বিচারকের ব্যক্তিগত নয়। তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। সেই ৮৮ পাতার রায়ে প্রধান বিচাপতি কেজি বালাকৃষ্ণণ নিজেরও ক্ষতি স্বীকার করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টের তিন বিচাপপতির বেঞ্চে হয়েছিল রায়দান।
বিচার ব্যবস্থাকে আরটিআইয়েকর আওতায় রাখতে নারাজ
আগামি কাল এই বিতর্কিত মামলার রায়দান প্রধান বিচারপতিই করবেন। তবে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের সপক্ষে মত পোষণ করেননি। প্রধান বিচারপতি একাধিকবার বলেছেন, স্বচ্ছতা প্রকাশ করতে গিয়ে বিচারব্যবস্থার গোপনীয়তাকে প্রকাশ্যে আনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যদিও মামলাটির শুনানি পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে হবে কাজেই এক্ষেত্রে সকলের মতামতই নেওয়া হবে।