মোদীর নেতৃত্বাধীন সিবিআই-এর নিয়োগ কমিটি! কারণ জানিয়ে সরলেন প্রধান বিচারপতি
সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার ভবিষ্যত নিয়ে নিয়োগ কমিটির বৈঠকে তিনি থাকবেন না। জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার ভবিষ্যত নিয়ে নিয়োগ কমিটির বৈঠকে তিনি থাকবেন না। জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। অলোক বর্মাকে পদে ফেরানোর পর এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ কমিটির বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত পদে ফেরায় অলোক বর্মাকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর বদলে বিচারপতি একে সিক্রি বৈঠকে থাকবেন।
সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার ভবিষ্যত নিয়ে নিয়োগ কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খার্গে। এছাড়াও বৈঠকে থাকেন প্রধান বিচারপতি কিংবা তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদী, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে এবং বিচারপতি সিক্রি অলোক বর্মার উত্তরসূরি বাছতে বৈঠকে বসবেন। কেননা ৩১ জানুয়ারি অবসর নিচ্ছেন অলোক বর্মা।
জানা গিয়েছে, প্রধান বিচারপতিই অলোক বর্মাকে ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে তার ভবিষ্যত নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার শরিক হতে চিনি চান না। তাই কমিটি থেকে সরে গিয়ে নিজের জায়গায় বিচারপতি সিক্রিকে নির্বাচিত করেছেন।
২০১৮-র ২৩ অক্টোবর তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। সিল করে দেওয়া হয়েছিল তাঁর অফিস। অ্যাডিশনাল এম নাগেশ্বর রাওকে সিবিআই-এর অন্তর্বর্তী প্রধান করে বসানো হয়েছিল।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অলোক বর্মা। নিজের দুই বছরের কার্যকালের মেয়াদের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের কমিটিই যে তাঁকে অপসারণ করতে পারে, তাও সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে জানিয়েছিলেন অলোক বর্মা। ৩১ জানুয়ারি বর্মা কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পদে ফিরে বুধবার কাজে যোগ দিয়েছেন বর্মা। সিবিআই-এর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে থাকা রাকেশ আস্থানাও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তিনি এখনও ছুটিতেই আছেন।