
দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রিত! গণতন্ত্র শ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁপাচ্ছে, বিস্ফোরক চিদাম্বরম
দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রিত, অপদস্থ কিংবা বন্দি। যেখানে দেশের গণতন্ত্র শ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁপাচ্ছে। সংসদ অকার্যকর হয়ে উঠেছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন প্রবীণ কংগ্রেস (Congress) নেতা পি চিদাম্বরম (P Chidambaram)।

নাইডুর ব্যর্থতা, শাহের অভিযোগ খারিজ
পি চিদাম্বরম বলেছেন গত সপ্তাহে অধিবেশন চলার সময় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগেকে ইডির তলব করা থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি এদিন শুক্রবার কংগ্রেসের
কর্মসূচি নিয়ে অমিত শাহ যে অভিযোগ করেছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছেন চিদাম্বরম। প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

বিজেপির অভিযোগ প্রত্যাখান
বিজেপির অভিযোগ ছিল ৫ অগাস্ট কংগ্রেসের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ইডির থেকে বাঁচাতে। পি চিদাম্বরম বিজেপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, কংগ্রেস ঘোষণা করেছিলেন ৫ অগাস্টের বিক্ষোভ শুধুমাত্র মূদ্রাস্ফীতি, বেকারি ও অগ্নিপথের বিরুদ্ধে। লোকেরা যদি এব্যাপারে বধির কিংবা অন্ধ হওয়ার ভান করে, তাতে কংগ্রেসের কিছুই করার নেই। তিনি বলেছেন, ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে তারা যথেষ্ট ভাল অবল্থানে রয়েছেন।

কোন পথে কর্মসূচি স্থির
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রসঙ্গত মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, জিএসটি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসে কংগ্রেস কালো কাপড় পরে বিক্ষোভ দেখায়।
এব্যাপারে চিদাম্বরম বলেছেন, যখন এই কর্মসূচির দিন স্থির করা হয়েছিল তখন এসব কিছু মাথায় রাখা হয়নি। তিনি বলেছেন, শনিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ায় শুক্রবার সব সাংসদ দিল্লিতে থাকবেন, একথা মাথায় রেখে তাদের কর্মসূচি ঠিক করা
হয়েছিল। চিদাম্বরম বলেছেন ২০১৯-এর ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরকে বেআইনিভাবে টুকরো করা হয়েছিল। ফলে গুরুতর বিষয় আলোচনার সময় এবিষয়গুলোকে বাদ দিলেই ভাল হয়।

বিস্ফোরক চিদাম্বরম
দেশের বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত নিয়ে চিদাম্বরম কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে তদন্ত শুধুমাত্র বিরোধীদের লক্ষ্য করেই করা হচ্ছে।
এব্যাপারে তিনি বলেছেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে কিংবা দখল করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন দেশের গণতন্ত্র শ্বাস নিতে গিয়ে হাঁপাচ্ছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেছএন, আমাদের কাছে গণতন্ত্রের
খোলস রয়েছে, কিন্তু ভিতরটা ফাঁপা। এটি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
মূল্যবৃদ্ধি-সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বারে বারে মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। যার জেরে ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে তেমন কোনও কাজ হয়নি। এব্যাপারে
চিদাম্বরম বলেছেন, সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে, এই উপসংহারে এসেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ এর বড় কারণ হল সরকার পক্ষ অর্থাৎ ট্রেজারি বেঞ্চের আলোচনা, বিতর্কে কোনও আগ্রহ নেই।
Niti Aayog meeting: মোদীর দরবারে জিএসটি নিয়ে সরব বাঘেল, বিপর্যয় মোকাবিলায় আরও অর্থ দাবি নবীনের