২০ কোটি টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন কার্তি চিদাম্বরমের, ইডিকে নোটিশ সুপ্রিমকোর্টের
২০ কোটি টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন কার্তি চিদাম্বরমের, ইডিকে নোটিশ সুপ্রিমকোর্টের
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের ছেলে কার্তি চিদাম্বরমকে ২০ কোটি টাকা জামানতের বদলে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। সেই টাকা জমা দিয়ে গতবর দুইবার বিদেশ যান কার্তি। এবার সেই টাকা ফেরত চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কার্তি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই ইডিকে নোটিশও জারি করল শীর্ষ আদালত। এর আগে আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা চিদাম্বরমের সঙ্গে তাঁরও বিদেশে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
ইডি-র কাছে ২০ কোটি টাকা জমা
গতবছরের জানুয়ারি মাসে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় অভিযুক্ত কার্তি চিদম্বরমকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে যাওয়ার আগে জামিন হিসেবে ১০ কোটি টাকা তাঁকে জমা করতে হবে। এরপর মে মাসেও আরও একবার বিদেশ যান। তখনও তাঁকে ১০ কোটি টাকা জমা দিতে হয়। বাবা পি চিদম্বরম দেশের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন এয়ারসেল-ম্যাক্সিস ও আইএনএক্স মিডিয়ার মধ্যে যে ৩০৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল তারই তদন্ত করছে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এরপর দুজনের উপরই বিদেশ সফরের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
দীর্ঘদিন তিহারে থাকার পর মুক্তি পান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
এদিকে দীর্ঘদিন তিহারে থাকার পর গতবছরের অক্টোবরে সিবিআই-এর দায়ের করা আইএনএক্স মিডিয়ায় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জামিন মঞ্জুর হয় চিদাম্বরমের। চিদাম্বরমের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতেই তাঁকে জামিন দেয় শীর্ষ আদালত।
চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আইএনএক্স মিডিয়ায় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই ২০১৯ সালের ২১ অগাস্ট প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিহারে রয়েছেন চিদম্বরম। এর আগে ১৫ দিন সিবিআই হেফাজতেও কাটিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরমের সংস্থাকে না কি বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া । যদিও চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলাতেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলাতেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ২০০৬ সালে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি থেকে এ বিষয়ে অনুমোদনের কথা থাকলেও অর্থমন্ত্রক থেকে অবৈধভাবে অনুমতি দেওয়া হয় বলে দাবি সিবিআই-এর। ওই চুক্তির ভিত্তিতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল-ম্যাক্সিস সমঝোতা হয়। তবে এই মুহূর্তে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি ।
এপ্রিলেই হবে কলকাতা পুরসভার ভোট, সংরক্ষণের চাপে সংকটে মেয়র পারিষদরা