নিজেকে বড় অসহায় বলে মনে হয়...! কেন এমন বললেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা Chidambaram?
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে চলছে জোর প্রস্তুতি। একজোট হতে শুরু করেছে মোদী বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিকদলগুলি। তবে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্রোহকে সামাল দেওয়া হয়।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে চলছে জোর প্রস্তুতি। একজোট হতে শুরু করেছে মোদী বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিকদলগুলি। তবে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্রোহকে সামাল দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয়, যেভাবে গোটা দেশেই দলে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে সেটাও সামাল দেওয়া সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
আর এর মধ্যে তো রয়েছেই বিদ্রোহী G-23 নেতারা। যারা প্রত্যেক মুহূর্তে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। দলের এই অবস্থা দেখে কার্যত হতাশ আদি কংগ্রেস নেতারা। যাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন পি চিদম্বরম।
তাঁর মতে, এই অবস্থা আরও অসহায় করে দিচ্ছে তাঁকে। দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত দলের গঠনমূলক আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর। ইতিমধ্যে দলের এহেন অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে টুইট করেছেন তিনি। সেখানে পি চিদম্বরম লিখছেন, যখন আমরা দলের সাংঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে পারিনা তখন নিজেকে কোথাও যেন অসহায় মনে হয়! তাঁর এই অবস্থা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের বাড়িতে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনা নিয়েও মুখ খুলেছেন পি চিদম্বরম। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে চিদম্বরম আরও লিখেছেন, আমি খুব দুঃখিত হই যখন আমি দেখি আমরাই সহকর্মী এবং দলের সাংসদের বাড়ির সামনে স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা। দ্রুত এই ছবি বদলানো উচিৎ বলেও মনে করেন দলের প্রাক্তন এই সাংসদ।
উল্লেখ্য দলের মধ্যে বিদ্রোহ। একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে কংগ্রেসের। এই অবস্থায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন পদ থেকে ইস্তফা দিতেই গর্জে ওঠেন কপিল সিব্বল। নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি, দলের কোনও সভাপতি যেখানে নেই সেখানে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? কেই বা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ।
পাশাপাশি প্রবীন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির মিটিং ডেকে গোয়া ও পঞ্জাব পরিস্থিতি আলোচনা করার জন্য সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন। G23 নেতারাও এই বিষয়ে চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। আর এই অবস্থার মধ্যেই গত কয়েকদিন আগেই কপিল সিব্বলের বাড়ির সামনে 'গেট ওয়েল সুন' এই পোস্টার দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতারা। যা নয়া মাত্রা তৈরি করেছে।