নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কংগ্রেসের ‘মিথ্যাচার’ প্রসঙ্গে মোদীকে বিঁধলেন চিদাম্বরম
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কংগ্রেসের ‘মিথ্যাচার’ প্রসঙ্গে মোদীকে বিঁধলেন চিদাম্বরম
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এরপর শুরু হয় জোর তরজা। এই বক্তব্যের পরই টুইটারে মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে।
ওই জনসভায় মোদী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন কংগ্রেস প্রকাশ্যে ঘোষণা করুক তারা সমস্ত পাকিস্তানিকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এরপরই পি চিদাম্বরম বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তার এই সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করতে দেখা যায়। টুইটারে চিদাম্বরম লিখেন, “যারা ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের নাগরিক তাদের পুনরায় কেন নাগরিকত্ব দেব? বিরোধী দলের কাছে এই জাতীয় চ্যালেঞ্জের অর্থ কি?”
এরপর ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে মোদী সরকারকে বিঁধে চিদাম্বরম বলেন, “ এটা সন্তোষজনক যে দেশের এই প্রেক্ষাপটেও বর্তমানে ছাত্র এবং তরুণ সমাজ উদার, ধর্মনিরপেক্ষ, সহনশীল এবং মানবতা পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সরকার কি এই মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করছে? ” এদিকে মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার এবং মুসলমানদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এই প্রসঙ্গে ওইদিন তিনি বলেন, “ কংগ্রেস মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে দেশের কোনও এই আইনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা।”
অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ১২ টি বিরোধী দলের নেতারা মঙ্গলবার নয়া দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সাথে সাক্ষাত করেছেন। পাশাপাশি জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর রবিবারের পুলিশ অত্যাচার নিয়ে তদন্তেরও দাবি করে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধীকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা সকলেই দেখেছেন যে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধের ক্ষেত্রে মোদী সরকারের কোনও রাখ ঢাক নেই। আমরা আগামীতে এর ভয়াভয়তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।”