এক দেশ এক নির্বাচন! কড়া বিরোধিতায় কংগ্রেস, জেনে নিন কারণগুলি
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যগুলির নির্বাচনের কথাকে সরকারে 'গিমিক' বলেই বর্ণনা করলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী এই দুই নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যগুলির নির্বাচনের কথাকে সরকারে 'গিমিক' বলেই বর্ণনা করলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী এই দুই নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, জানিয়েছেন তিনি।
নিজের বই 'স্পিকিং ট্রুথ টু পাওয়ার'-এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, ভারতের সংবিধানে কোনও সরকারের জন্যই নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা বলা নেই। সেটা যতক্ষণ না সংশোধন করা হচ্ছে ততক্ষণ একইসঙ্গে নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই জানিয়েদেন চিদাম্বরম। বিষয়টিকে 'একদেশ, এক কর ব্যবস্থা'-র মতোই গিমিক বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে সংসদীয় নির্বাচনের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছটি রাজ্যের নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু কখনই ৩০টি রাজ্যের নির্বাচন সম্ভব নয়।
যদি একবছর ক্ষমতায় থাকার পর, একটি রাজ্যের সরকার পড়ে যায়, তাহলে কি বাকি চার বছর সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন চলবে? সেই প্রশ্ন করে উত্তরও দিয়েছেন চিদাম্বরম। এই ব্যবস্থা কখনই করা যায় না।
বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ সংসদে দেওয়া ভাষণে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেন। বারবার নির্বাচনে বিপুল খরচের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। বারবার নির্বাচনে দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয় বলেও জানান রাষ্ট্রপতি।
বিরোধী শিবিরের অনেকেরই মত, বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের ডাক দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোটের ভয়েই। দুটি নির্বাচন একসঙ্গে হলে, তা বিজেপি তথা মোদীকেই সুবিধা করে দেবে বলে মত প্রকাশ করেছেন বিরোধীদের অনেকেই।
বিরোধীদের মতে লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাজস্থান, ছত্তিসগড় এবং মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে মোদী প্রচারে গেলে সেখানকার স্থানীয় আশা-আকাঙ্খা এবং তাঁদের হতাশারও সম্মুখীন হতে হবে মোদীকে। তিন রাজ্যেই ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী কংগ্রেস।