হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব বাধিয়ে বাংলা-অসম জয়ের লক্ষ্যে বিজেপি! সাবধান করলেন চিদাম্বরম
হিন্দু-মুসলিমদের দ্বন্দ্ব বাধিয়ে বাংলা ও অসমের ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই সিএএ ও এনআরসি করে ধর্মীয় বিভাজন ঘটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন মোদী-শাহেরা।
হিন্দু-মুসলিমদের দ্বন্দ্ব বাধিয়ে বাংলা ও অসমের ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই সিএএ ও এনআরসি করে ধর্মীয় বিভাজন ঘটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন মোদী-শাহেরা। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম শনিবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই সুরেই আক্রমণ শানালেন। তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করতে পারবেন না।
কেন্দ্রের লক্ষ্য ভারতকে হিন্দু ও মুসলিম হিসাবে বিভক্ত করা
চিদাম্বরম বলেন, কেন্দ্রের লক্ষ্য ভারতকে হিন্দু ও মুসলিম হিসাবে বিভক্ত করা। ধর্মীয় বিভাজন ঘটিয়ে অসম ও পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিততে চাইছে বিজেপি। কিন্তু তাঁদের অভিসন্ধি কোনদিনও পূর্ণ হবে না। বিজেপিকে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করতে দেব না।
কেন্দ্রীয় সরকার আগুন নিয়ে খেলছে
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিষিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে। এদিন পি চিদাম্বরম কেরলের তিরুবনন্তপুরমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-এর বিরুদ্ধে 'মহা সমাবেশে' বক্তব্য রাখছিলেন। এই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
মোদী-শাহের পারাক নিয়ে তোপ
পি চিদাম্বরম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আর অমিত শাহ তো ফলা করে ৯ ডিসেম্বর জানিয়েছিলেন সরকার এনআরসি আনছে এবং তিনি ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভাতেও বলেছিলেন দেশের সর্বত্রই এনআরসি হবে। পি চিদাম্বরম আরও বলেন, এ পর্যন্ত আটবার সংসদে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীরা জানিয়েছেন এনআরসি এই সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
এনআরসি লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভূমিহীন করবে
তিনি বলেন, এনআরসি লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভূমিহীন করে তুলবে। ইতিমধ্যে ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। ১৯ লক্ষেরও বেশি নাম শুধু অসমে বাদ পড়েছে। কেন্দ্র আসামে একটি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। যাতে তিন হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। একটু হিসাব করে দেখুন ১৯ লক্ষ মানুষকে রাখতে কত টাকা বরাদ্দে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে হবে।