পরকীয়া নিয়ে মুখ বন্ধের হুঁশিয়ারি স্বামীর! অপমানে আত্মঘাতী স্ত্রী
পরকীয়া নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরেই মহিলার আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের এমজিআর নগরে।
পরকীয়া নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরেই মহিলার আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের এমজিআর নগরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী একজন প্রহরী। অভিযোগ তিনি, স্ত্রীকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে তাঁর(প্রহরী) বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ জানানোর কোনও অধিকার নেই। দিন তিনেক আগেই পরকীয়া নিয়ে রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। জানিয়েছে, পরকীয়া কোনও অপরাধ নয়। এরপরেই ওই মহিলা আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর দুই আগে, জনপল ফ্র্যাঙ্কলিন(২৭)-এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নেশাপক্কমের ভারতীনগরের পুষ্পলতার(২৪)। পরিবারের অমতে ভালবাসা করে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। দম্পতির এক সন্তানও রয়েছে।
বর্তমানে যক্ষার চিকিৎসা চলছিল ওই মহিলার। ফ্র্যাঙ্কলিন এলাকারই কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের প্রহরীর কাজ করেন।
স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই ফ্র্যাঙ্কলিন স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন বলে অভিযোগ। এমন কী স্ত্রীকে অর্থসাহায্য করাও বন্ধ করে দেন।
এইসব ব্যাপার নিয়ে পুষ্পলতা স্বামীর এক বন্ধুকে জানান। তখন সেই বন্ধু বলেন, ফ্র্যাঙ্কলিন অপর এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। জানা গিয়েছে, কিছু না বললেও, নিজে থেকেই বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাতে থাকেন পুষ্পলতা। পুষ্পলতার সন্দেহ আরও বাড়ে, যখন ফ্র্যাঙ্কলিন কিছুদিন ধরে বাড়িতে দেরি করে ফিরছিলেন।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ফ্রাঙ্কলিন এবং পুষ্পলতার মধ্যে ঝামেলা হয়। পুষ্পলতা স্বামীকে অবৈধ সম্পর্ক ছাড়তে বলেন। যদিও তাতে রাজি হননি ফ্র্যাঙ্কলিন। সেই সময় পুলিশে অভিযোগ জানানোর হুমকি দেন পুষ্পলতা। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই সময় ফ্যাঙ্কলিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরকীয়া বৈধ বলা হয়েছে। সেইজন্য, কোনও কেস করা যাবে না তাঁর (ফ্র্যাঙ্কলিন) বিরুদ্ধে।
এরপরেই আত্মহত্যা করেন পুষ্পলতা নামে ওই মহিলা। ঘরে দেহ পড়ে থাকতে দেখে এমজিআর নগর থানায় জানান পুষ্পলতার এক আত্মীয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ পুষ্পলতার স্বামী ফ্র্যাঙ্কলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, যদি পরকীয়ার জেরে কেউ আত্মহত্যা করেন, তাহলে যিনি বেঁচে থাকবেন তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার অভিযোগ দায়ের করা যাবে।