'হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট' করিয়ে মৃত চেন্নাইয়ের মেডিক্যাল পড়ুয়া
চেন্নাই, ৯ জুন : মাথায় চুল কমে গিয়েছিল সন্তোষের (২২)। চেন্নাইয়ের মেডিক্যাল কলেজে ফাইনাল বর্ষের ছাত্র সন্তোষের তা নিয়ে কিছুটা হীনম্মন্যতা ছিল। সেটা দূর করতেই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের সিদ্ধান্ত নেয় সে। তবে এই সিদ্ধান্তই যে তাঁর জীবন কেড়ে নেবে সেটা যদি সে জানত।
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম 'মুরগীর ডিম' মিলল ইংল্যান্ডের এক খামারবাড়িতে
১ বছরের শিশুর ২৫ বছরের যুবকের মতো যৌনাঙ্গ
গত মে মাসে সন্তোষ হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর মা জোসবিন। তিনি পেশায় নার্স। মাথায় চুল বসাতে গিয়ে যে ছেলের এমন দশা হবে সেটা তিনিও বুঝতে পারেননি। শোকাতুর জোসবিন জানিয়েছেন, ১০ ঘণ্টা ধরে চলেছিল হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া। প্রায় ১২০০টি চুল সন্তোষের মাথায় বসানো হয়েছিল।
এরপর সে বাড়ি ফিরে আসে। তবে ফিরেই জ্বরে আক্রান্ত হয় সন্তোষ। তিনদিন জ্বরে ভুগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, 'অ্যাডভান্সড রোবটিক হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার' নামে যেখানে সন্তোষের মাথায় চুল বসানো হয়েছিল, সেখানে চিকিৎসক বলে যারা এই ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন, তারা আদতে চিকিৎসকই ছিলেন না।
বিশ্বের সবচেয়ে 'বেশি ওজনের শিশু' জন্ম নিল কর্ণাটকে
ঘটনার পর থেকেই দুই অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক বলে জানা গিয়েছে। এই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের খরচ হিসাবে আগেভাগে ৭৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন প্রয়াত সন্তোষের মা জোসবেন।
ল্যাপটপে চার্জ দেওয়া অবস্থায় কাজ করে মৃত দিল্লিবাসী তরুণ
পুলিশ তদন্তে নেমে জেনেছে, যেখানে সন্তোষের হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া চলেছিল, তা একটি সেলুন ছিল। শল্য চিকিৎসা করার মতো কোনও লাইসেন্স তাদের ছিল না। এমনকী শল্য চিকিৎসা করতে যে ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হয়, সেটাও ওই সেলুনে ছিল না।
চুল প্রতিস্থাপন কেন্দ্রটিতে বিনা লাইসেন্সে প্রচুর ওষুধ মজুত করে রাখা ছিল। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পলাতক দুই চিকিৎসকের খোঁজ চলছে। এমন ঘটনা যাতে আর কারও সঙ্গে ভবিষ্যতে না হয়, সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সন্তোষের বাবা-মা।