চেন্নাইয়ের বহুতল ভেঙে মৃত ১০, আটকে এখনও ৪০, গ্রেফতার ৪
ভারি বর্ষণের জেরে শনিবার ১১ তলার ওই বাড়ি ভেঙে পড়ে। ১২টি দমকলের ইঞ্জিন এবং অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। এনডিআরএফ-এফ ১০টি দল এবং ১৮০ জন বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
এনডিআরএফ-এর ডিআইজি এসপি সেলভান জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অন্যান্য দফতরের সঙ্গো যুগ্মভাবে এনডিআরএফ-এর ১০টি দল কাজ করছে। ৩০০-রও বেশি কর্মী আপাতত উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে আনাটা আমাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। উদ্ধারকাজ শেষ হতে ২-৩ দিনও লেগে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চেন্নাই থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে পরুর এলাকার মৌলিভাক্কম এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নির্মাণকর্মী বলে জানা গিয়েছে। এই নির্মাণ কর্মীদের অধিকাংশই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসেছেন। অনেকে আবার বৃষ্টির কারণে এই বাড়ির নীচে আশ্রয় নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলেও সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে।
কেন ওই বাড়িটি ভেঙে পড়ল তাঁর স্পষ্ট কোনও কারণ জানা যায়নি। অনেকে বলছেন দুর্বল নির্মাণের কারণেই ভেঙে পড়েছে বহুতলটি। অনেকের ধারণা বজ্রপাতের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে ১১ তলার এই বাড়িটি। নির্মীয়মান ট্রাস হাউজ নামের এই প্রকল্পে দুটি বহুতল হওয়ার কথা ছিল। একটি 'দ্য বিলিফ' ও অন্যটি 'দ্য ফেইথ'।
তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।