
আত্মনির্ভর ভারতের শপথ! গুগলের সঙ্গে গাঁটছড়ায় সস্তা স্মার্টফোনে বিপ্লব আনতে চলেছে জিও
গত আড়াই মাসে প্রায় ১১ টি বহুজাতিক সংস্থার বিনিয়োগের পর মুকেশ আম্বানির জিওতে গুগল বিনিয়োগ করতে চলেছে প্রায় ৩০,১৪৪ কোটি টাকা। আর এর মধ্যেই রিলায়েন্সের ৪৩তম বার্ষিক সম্মেলনে মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করলেন, জিও-গুগলের যৌথ উদ্যোগে বাজারে আসতে নতুন অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমের কথা। আশার কথা এই যে, এই নতুন অপারেটিং সিস্টেম(ওএস)-এর দৌলতে সস্তায় ৪জি ও ৫জি ফোন পাওয়া সম্ভব হবে।

ফোনের মূল্য কমাতেই নতুন ওপারেটিং সিস্টেমের ভাবনা
ইতিপূর্বে ভিন্ন ভিন্ন সংস্থা ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও ফোনের মত একাধিক ইলেকট্রনিক সামগ্রীর জন্য একটিই ওএসের কথা ভেবেছে। যার ফল হল পাফিন ওএস। জিওর হাত ধরে কাই ওএস চালিত জিওফোন বাজারে রমরমিয়ে চলছে। তেমনভাবেই গুগলের বিনিয়োগ ও বিশাল প্রযুক্তিগত সহায়তায় জিও সস্তায় অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর ওএসের কথা ভাবছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ওএস প্লে-স্টোর খুলতেও সক্ষম হবে।

ভারতে কমদামি ফিচার ফোনের গ্রাহক প্রায় ৩৫ কোটি
মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত আমাদের সংস্থা প্রায় ১০ কোটি জিও ফোন বিক্রি করেছে। অনেকেই কমদামী স্মার্টফোন ব্যবহারের কথা ভাবছেন, কিন্তু তাঁদের যদি কম দামে অন্যরকম ওএস ব্যবহার করে জিওফোনের মত ফিচার ফোন দেওয়া যায়, তাহলে তাঁরাও সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।" রিলায়েন্সের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতে প্রায় ৩৫ কোটি ফিচার ফোনের গ্রাহক রয়েছেন। যদি কম দামে অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ওএস ব্যবহার করে তাঁদেরও ৫জি ফোনের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় তবে ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতের দিকে আরও এক পা এগোনো সম্ভব হবে বলে মত তাঁর।

গুগলের সহায়তায় নতুন পথে পা বাড়াচ্ছে জিও
মুকেশ আম্বানি জানান, "আমরা চাই কম দামে ৪জি বা ৫জি ফিচার ফোন সবার হাতে পৌঁছে দিতে। কিন্তু তার জন্য দরকার উন্নতমানের প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিকমানের ইঞ্জিনিয়ারিং। গুগল এবং জিওর এই যুগলবন্দিতে আমরা এমন একটি অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর ওএস তৈরিতে সক্ষম হব, যাতে বর্তমানের স্মার্টফোন মূল্যের ভগ্নাংশের বিনিময়েই কেউ একটি স্মার্টফোনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।"

ভারতকে ২জি মুক্ত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে জিও
আরআইএলের কর্ণধার আরও জানিয়েছেন, "যেহেতু ভারত বর্তমানে ৫জি যুগের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে, সেহেতু আমাদের লক্ষ্য ভারতের ২জি ফোন ব্যবহারকারীদের একইরকম আকারের ফিচার ফোন দিয়ে তাঁদেরও ৪জি বা ৫জি যুগের আওতায় নিয়ে আসা। আমরা চাই যথাসম্ভব দ্রুত ভারতকে ২জি মুক্ত করতে।" এক তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, নতুন ওএস নির্ভর ফিচার ফোনগুলি মূলত কম স্টোরেজ স্পেসের উপর নির্ভর করে চলবে, তাই ওয়েব অ্যাপ ব্যবহার করে সেই খামতিকে পূরণ করা হবে।
পাইলট-বিজেপি আঁতাতের প্রমাণ রয়েছে গেহলটের হাতে! রাজস্থানের রাজনীতিতে নয়া চাঞ্চল্য