ছত্তিশগড়ে মাওনেতাকে নিয়ে কোন টোপে 'ট্র্যাপ' তৈরি করা হয় জওয়ানদের জন্য! উঠছে হাড়হিম করা তথ্য নিয়ে জল্পনা
দেশের ৪ রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটের আলোড়নের মাঝে ছত্তিশগড়ে ২২ জওয়ানের রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধে শহিদ হওয়ার ঘটনা কার্যত গোটা দেশে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। ২২ জওয়ান ছাড়াও একজনের নিখোঁজ থাকার খবরও এদিন আসে। জানা গিয়েছে মর্মান্তিকভাবে এক জওয়ানের দেহাংশ কেটে দেয় মাওবাদীরা। এদিকে, ঘটনা ঘিরে বেশ কয়েকটি তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে ছত্তিশগড়ের বুকে।
ট্র্যাপ ও নৃশংস হত্যা!
শোনা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগে বারবার নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে রিপোর্ট আসছিল যে মাও নেতা হিদমা ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। গত ১০ দিন ধরে সেনার বিশ্বস্ত সূত্র ধরে এমন তথ্য দিয়ে আসছিল। 'টিপ' পেয়ে মাও দমনে অপারেশন চালাতে যায় বাহিনী। এরপরই বাহিনীকে চমকে দেয় মাওবাদীরা।
ফাঁদ!
এক বেসরকারী চ্যানেলের খবর বলছে, যে জায়গায় মাও নেতা হিদমা থাকার কথা বলে বাহিনীকে নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়, সেখানে আগে থেকেই সশস্ত্র মাওবাদীরা অপেক্ষা করছিল। বাহিনী নামতেই সেখানে চলতে থাকে গুলি। মুহূর্তে রক্তপাত শুরু হয়। এমন বহু দাবি ঘিরে জল্পনা আসলেও, এর সত্যতা এখনও সামনে আসেনি।
কে এই হিদমা?
জানা গিয়েছে, এই হিদমা হল তাবড় মাওবাদী নেতা। যার মাথার দাম ২৫ লাখ টাকা। আর এই নেতা থাকার টোপ দিয়েই সম্ভবত জওয়ানদের ওপর হামলা চলে বলে খবর।
জলকষ্টে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে!
এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারের সময় যখন বহু সতীর্থকে জঙ্গিরে ভিতরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে দেখেন জওয়ানরা, তখন সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে তাড়াতাড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসতে চান অনেকে। সেই সময় সঙ্গে থাকা খাবার আর জল ফেলে দিয়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। যার জেরে পরের দিকে বহু জওয়ানের শুধুমাত্র জলকষ্টেই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান।
তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের চমকপ্রদ প্রচার