জঙ্গিযোগে অভিযুক্ত দবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত চার্জশিট ফাইল করল এনআইএ
জঙ্গিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের ডিএসপি দবিন্দর সিং। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে ব্যর্থ হওয়ায় জামিনে মুক্তি পেয়েছিল দাভিন্দর। সেই ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত দভিন্দরের নামে চার্জশিট জমা করল এনআইএ।
কাশ্মীরের কুলগামে আটক করা হয় দবিন্দরকে
দুই জঙ্গির সঙ্গে কাশ্মীরের কুলগামে আটক করা হয় পুলিশ আধিকারিক দবিন্দর সিংকে। জঙ্গিদের সঙ্গে গাড়িতে তাঁকে দেখে হকচকিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। বেরোয় একাধিক তথ্য। জানা যায়, গাড়িতে জম্মু রওনা দেওয়ার আগে হিজবুল জঙ্গিরা দবিন্দরের বাড়িতেই ছিল। এছাড়াও জঙ্গিদের থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছিল দভিন্দর। জঙ্গি যোগের অভিযোগে গতকালই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম থেকে দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিসহ আটক করা হয় পুলিশ আধিকারিক দবিন্দর সিংকে। শ্রীনগরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জম্মু- শ্রীনগর জাতীয় সড়কের ওয়ানপো এলাকার একটি চেক পোস্টে তাদের গাড়ি আটকানো হয়। গাড়িটি সোপিয়ান থেকে জম্মুর দিকে যাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
দবিন্দর জঙ্গি হিসেবেই দেখা হবে
দবিন্দর সহ তিনজনকে আটক করার পর পুলিশের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়। তাঁরা জানান, দবিন্দর একাধিক জঙ্গিদমন অভিযানে যুক্ত ছিল। তারপর এই জঘন্যতম অপরাধে লিপ্ত হয় সে। দবিন্দরকে জঙ্গি হিসেবেই দেখা হবে। ঘটনাটি সংবেদনশীল হওয়ায় তদন্তে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তাই আইবি, র, সিআইডি-র মতো সকল গোয়েন্দা বিভাগকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
দবিন্দর প্রসঙ্গে বিরোধীদের গর্জন
এদিকে বিরোধীদের শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ না হোক, সাপের খোলস বেরিয়েছে ইতিমধ্যেই। জঙ্গিযোগের অভিযোগে ধৃত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি দবিন্দর সিং আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি দিয়েছিলেন, হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুকে খতম করতেই ছক কষেছিলেন তিনি। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি দেবিন্দর। দবিন্দরের বিষয়টি সামনে আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, দবিন্দরের পদবি সিং না হয়ে খান হলে আরএসএস এখনই গর্জে উঠত। পুলওয়ামা ঘটনার পিছনে কারা, নতুন করে তদন্ত করা হোক।