বিশৃঙ্খলার জেরে মাঝপথেই জনতার দরবার ছাড়লেন কেজরিওয়াল ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা
শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় শুরু হয় জনতার দরবার। চলার কথা ছিল ১১ টা অবধি। কিন্তু বিশৃঙ্খলার জেরে সভা শুরুর এক ঘন্টার মধ্যেই ভেস্তে যায় জনতার দরবার।
জনতার দরবারের জন্য প্রয়োজন উন্নত আয়োজন : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
কিন্তু সভায় ভিড় ক্রমশই বাড়তে থাকে। নিজেদের দরবার-অভিযোগ নিয়ে শতাধিক মানুষ সভাস্থলে ভিড় করতে শুরু করে। ভেঙে যায় ব্যারিকেট। পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকে। নিরাপত্তার কারণে সভা ছাড়েন কেজরিওয়াল-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এদিকের দরবার ভেস্তে যাওয়ার পর কেজরিওয়াল জানান,আমরা লক্ষ্য করেছে জনতা দরবারে অভিযোগকারীদের মধ্যে একটা বড় অংশই হল সরকারি কর্মচারী। জল ও বিদ্যুৎ নিয়েই মানুষের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। বখেয়া পাওনার কথা জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। সবদিকগুলোই গুরুত্ব দিয়ে শোনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবারই রাজধানীর নয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, শনিবার সমগ্র মন্ত্রিসভা সেক্রিটারিয়েটে বসবে জনতার দরবার শোনার জন্য। জনতা দরবার শুনে তা তৎক্ষণাৎ সমাধানেরও চেষ্টা করবে মন্ত্রিসভা। সপ্তাহের বাকি দিনে মন্ত্রিসভার কোনও এক সদস্য জনতার থেকে তাদের অভিযোগ জানার চেষ্টা করবে।
কিন্তু ভিড়ের বিশঋঙ্খলার কারণে মাঝপথে সভা ভেস্তে যায়। তাই কেজরিওয়াল বলেন, মানুষের কাছে অনুরোধ করব আপনারা শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। নয়তো আপনাদেরই চোট লাগতে পারে। জনতার দরবারেে জন্য আরও ভাল আয়োজনের প্রয়োজন আছে বলেও জানান তিনি। তার জন্য দু-এদিনের সময়ও চেয়ে নিয়েছেন তিনি। হয়তো দরবারের স্থানও পরিবর্তিত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।