বড়সড় রদবদল বিজেপিতে, নাড্ডা চমকে নয়া কেন্দ্রীয় দলে ঠাঁই কোন হেভিওয়েটদের?
আসন্ন বিহার নির্বাচনের ঘুঁটি সাজানো প্রায় হয়ে গিয়েছে বিজেপির। সেখানের ভোট নির্ঘণ্ট বাজার আগেই অ্যাজেন্ডা নিয়ে ময়দানে নেমেছিল গেরুয়া শিবিরে। বিহার নির্বাচনকে বিজেপি শিবির বাংলার আগে সেমিফাইনাল হিসাবে দেখছে। আর বিহার নির্বাচনের আবহেই বাংলার ফাইনালের জন্যে লাইনাপ ঘোষণা করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
একাধিক রাজ্যে নির্বাচন হেরেছে বিজেপি
বিগত এক-দুই বছরে একাধিক রাজ্যে নির্বাচন হেরেছে বিজেপি। তবে সেই রাজ্যের নেতৃত্বের উপর ভরসা দেখিয়ে তাদের জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে নিয়ে আসা হল এবারে। এর মূলে আরও একটি কারণ থাকতে পারে। ছত্তিসগড়, রাজস্থানের মতো এই রাজ্যগুলিতে এবার বিজেপি নয়া নেতৃত্বের খোঁজে রয়েছে। তাই পুরোনো নেতাদের রাজ্য রাজনীতি থেকে অবসর দেওয়া হল।
জেপি নাড্ডার তালিয়াক মুকুল রায়
এদিন জেপি নাড্ডার প্রকাশিত তালিকায় অবশ্য সব থেকে চমকপ্রদ নামটা ছিল মুকুল রায়ের। দীর্ঘ দিন উপেক্ষিত থাকার পর তাঁকে এবার দলের জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট বানানো হল। তাঁকে ছাড়া আরও ১২ জনকে এই পদে রাখা হয়েছে। তবে মুকুল রায়কে সরাসরি এই পদে নিযুক্ত করার পিছনে যে বাংলা জেতার মরিয়া ইচ্ছা কাজ করছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।
মুকুল রায ছাড়া যাঁরা জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন
মুকুল রায় ছাড়াও ছত্তিসগড়ে প্রাক্ত মুখ্যমন্ত্রী ডঃ রমন সিংকে ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রাখা হয়েছে। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াও রয়েছেন এই পদে। তাছাড়া বিহার থেকে বিজেপির সাংসদ রাধআ মোহন সিং, ওড়িশার বৈজন্ত পাণ্ডা, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, উত্তরপ্রদেশের সাংসদ রেখা বর্মা, ঝাড়খণ্ডের সাংসদ অন্নপূর্ণা দেবী, গুজরাতের সাংসদ ভারতী বেন শিয়াল, তেলাঙ্গানার ডিকে অরুণা, নাগাল্যান্ডের চুবা আও এবং কেরলের আবদুল্লা কুট্টিকে ন্যাশনাল ভআইস প্রেসিডেন্ট পদে রাখা হয়েছে।
জাতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে যাঁরা
এছাড়া জাতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন রাজস্থানের সাংসদ ভূপেন্দ্র সিং যাদব, উত্তপ্রদেশের সাংসদ অরুণ সিং, মধ্যপ্রদেশের কৈলাশ বিজবর্গীয়, দিল্লির সাংসদ দুষ্মন্ত কুমার গৌতম, অন্ধ্রপ্রদেশের ডি পূরাণদেশ্বরী, কর্নাটকের বিধায়ক সিটি রবি, পাঞ্জাবের তরুণ চুগ, অসমের দীলিপ সাইকিয়া।
তালিকায় নাম রয়েছে বাংলার আরও দুই জনের
এছাড়া সাংগঠনিক বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন দিল্লির বিএল সন্তোষ। জাতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মুম্বইয়ের ভি সতীশ, রায়পুরের সৌদান সিং, লখনৌয়ের শিবপ্রকাশ। জাতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন ১৩ জন। যার মধ্যে নাম রয়েছে বাংলার অনুপম হাজরার। এছাড়া ২৩ জন জাতীয় মুখপাত্রের মধ্যে নাম রয়েছে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার।
অন্যান্য পদে যাঁরা
এছাড়া দলের কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন রাজেশ আগরওয়াল। যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন সুধীর গুপ্তা। আইটি সেলের পর্ধান পদে বহাল থাকলেন অমিত মালবিয়া। যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি কর্নাটকের সাংসদ তেজস্বী সূর্য। ওবিসি মোর্চার সভাপতি তেলাঙ্গানার কে লক্ষ্মণ। সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি হয়েছেন জামাল সিদ্দিকি। কিষাণ মোর্চার সভাপতি রাজকুমার চাহার। এসসি মোর্চার সভাপতি লাল সিং আর্য্য। এসটি মোর্চার সভাপতি সমীর ওরাওঁ।
বাংলায় প্রভাব বাড়ছে এআইএমআইএম-এর, ২১-এর আগে বিহার ভোটে সেমিফাইনাল খেলবেন ওয়েইসি