চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব? করোনা নিয়ে সরকারের নতুন নীতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
করোনা ভাইরাসের থাবা দেশের উপর প্রবল ভাবে পড়তেই নীতিতে বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র। গুরুতর ভাবে অসুস্থ না হলে করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে না রাখার কথা ভাবা হচ্ছে বলে সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। আর এতেই বিভিন্ন মহলে উঠেছে প্রশ্ন।
দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে
দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াতেই সরকার ভাবছে যে হালকা উপশম আছে এমন রোগীদের হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে না রেখে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হোক। সময় এলে যাতে গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা যায় এবং তার জন্য যাতে হাসপাতালে জায়গা তা সুনিষ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঝুঁকির সম্মুখীন স্বাস্থ্যকর্মীরা
এদিকে সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর ঝুঁকি কমাতেই এই নীতি বদলের কথা ভাবা হচ্ছে। বর্তমানে করোনার ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে ম্যালেরিয়ার ওষুধ খআওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তবে সেই ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি ওয়াকিবহল নন বিজ্ঞানীরা।
বর্তমানে করোনা সন্দেহ হলেই হাসপাতালে ভর্তি
বর্তমানে কাশি, জ্বর বা করোনার উপশম নিয়ে হাসপাতালে গেলে সেই রোগীকে আইসোলেশনে রাখাটা নিয়ম। এরপর টেস্টের রেজাল্ট এলে সেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক।
হাসপাতালে ভর্তি করা হবে রোগীর পরিস্থিতি বিবেচনা করে
বর্তমানে কোনও করোনা আক্রান্ত সন্দেহকেও হাসপাতালে রেখে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। তবে সেই নিয়মে বদল এনই সবাস্থ্য মন্ত্রক এবার জানাতে চলেছে যে, হাল্কা জ্বর বা কাশি বা অল্প গলা ব্যথা থাকলে তাকে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হবে। যদি চিকিৎসক মনে করেন যে রোগীর অবস্থা অবনতী হতে পারে, সেই ক্ষেত্রে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।